মুম্বই: কৃষক ১০০। আধার একটাই। নয়া বিতর্কে মহারাষ্ট্র সরকার।


সম্প্রতি, কৃষিঋণ মকুবের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করে মহারাষ্ট্র সরকার। প্রশাসনের তরফে জোর দেওয়া হয় আধার ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ওপর। তাদের দাবি ছিল, এতে দুর্নীতি কমবে। সরকার জানিয়েছিল, আধার-লিঙ্ক করা হলে জালিয়াতি ও ভুয়ো সুবিধাপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা যাবে।


কিন্তু, প্রশাসনের এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই বড় গাফিলতি ধরা পড়ে। রাজ্যের সমন্বয় দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক সম্প্রতি সম্ভাব্য সুবিধাপ্রাপ্তদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায়, প্রায় ১০০ জন কৃষকের নামের পাশে একই আধার নম্বর লেখা রয়েছে।


তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আধার নম্বর দেওয়া হলে ভুয়ো নাম চিহ্নিত করা সহজ হবে। কিন্তু, এখন বুঝতে পারছি না, এই সমস্যার সমাধান কী করে করব। তাঁর দাবি, প্রত্যেক কৃষকের আধার নম্বর ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা করতে গেলেও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই, প্রকল্প কার্যকরে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষিপ্ত রয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।


এই সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশ। সেখানে গোটা বিষয়টি নিয়ো আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক কর্তারা জানান, সরকারি পোর্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তাঁদের কাছে থাকা তথ্যের মধ্যে অনেক অমিল রয়েছে। যেমন, কিছু কৃষকের নাম পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকজনের জমির মাপ ও ঋণের পরিমাণের তথ্যে গরমিল রয়েছে।


গত সপ্তাহে ৩৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব প্রকল্পের মধ্যে প্রথম দফায় ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। শর্ত ছিল, ঋণ মকুব প্রকল্পের সাহায্য পেতে কৃষকদের অনলাইনে নথিভুক্তকরণ করতে হবে।


অনলাইন রেজিস্ট্রেশনকে বাধ্যতামূলক করা নিয়ে ফঢ়ণবীশ সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয় বিরোধীরা। যদিও, মহারাষ্ট্র প্রশাসনের জবাব, এটা না করা হলে, ব্যাঙ্কগুলি তহবিলে কারচুপি করতে পারে। এপ্রসঙ্গে, ব্যাঙ্ক কর্তারা জানিয়েছেন, সরকার যতক্ষণ না অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করছে, ততক্ষণ কোনও অর্থ কৃষকদের কাছে পৌঁছবে না।


প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়ায় শস্য বিমার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য কৃষকদের আধার নম্বর বাধ্যতামূলক করেছিল। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের নির্দেশে ব্যাঙ্কগুলি কৃষকদের জানিয়েছিল, ঋণ-সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে ব্যাঙ্কের সহযোগিতা পেতে হলে, তাঁদের আধার নম্বর জমা করতে হবে।