পুনে: গণধর্ষণের অভিযোগ আনা মানুষটি তথাকথিত নারী বা পুরুষ নন, রূপান্তরকামী। স্রেফ এই কারণে জামিন পেয়ে গেল তাঁকে ধর্ষণে অভিযুক্ত চারজন। স্থানীয় আদালতের এই রায় রূপান্তরকামীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।


ওয়াদগাঁও বুদ্রুক এলাকায় ১৭ জুন ওই ধর্ষণ হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু আদালতের বক্তব্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় তৃতীয় লিঙ্গ সম্পর্কে কোনও উল্লেখ নেই তাই ধর্ষণ হয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়।

প্রথমে আদালত পুলিশের কাছ থেকে অভিযোগ সম্পর্কিত ডাক্তারি রিপোর্ট চায়। কিন্তু পুলিশ তা দিতে পারেনি। এরপর অভিযোগকারী তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত খেয়াল করার পরেই আদালত জামিন দিয়ে দেয় ৪ অভিযুক্তকে। সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, একজন রূপান্তরকামীকে ৪ পুরুষ ধর্ষণ করেছে প্রমাণ করা কঠিন। কারণ ৩৭৭ ধারায় শুধু নারী, পুরুষ ও জন্তুর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্কের উল্লেখ আছে, তৃতীয় লিঙ্গের কথা নেই। অভিযোগকারী আগে ছেলে না মেয়ে ছিলেন সে বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ এনে মামলা এগনো যেত কিন্তু অভিযোগকারী নিজেকে শুধু রূপান্তরকামী বলে দাবি করেন। এরপরেই আদালত ৪ অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে জামিন দেন।

কিন্তু এই যুক্তি মানতে রাজি নন স্থানীয় রূপান্তরকামীরা। অভিযোগকারী বলেছেন, এই রায়ের পর বিচারব্যবস্থার ওপর তাঁর ভরসা চলে গিয়েছে। দেশ এখনও তাঁদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। তাঁদের বক্তব্য, আদালত অভিযোগকারীকে প্রশ্ন করতে পারত, তিনি মহিলা না পুরুষ, কী হিসেবে পরিচিত হতে চান। তা না করেই কেন তারা অভিযুক্তদের ছেড়ে দিল সেই প্রশ্ন উঠেছে।