রাজনাথ আরও বলেছেন, ‘এর আগে ছত্তিসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশকেও দুর্বল ও অসুস্থ রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হত। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ওই রাজ্যগুলির সমস্যা দূর করে দিয়েছে। অটল বিহারী বাজপেয়ী ও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। বাজেপেয়ী সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের কথা ভেবে তাঁদের উন্নতির জন্য আলাদা মন্ত্রক তৈরি করেছিল।’
ত্রিপুরায় গত বছর দুই সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক ও সুদীপ দত্তভৌমিকের হত্যা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া নিয়েও বাম সরকারকে আক্রমণ করেছেন রাজনাথ। তিনি বলেছেন, ‘দুই সাংবাদিকের হত্যার ঘটনার সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিল সাংবাদিকদের সংগঠন। কিন্তু মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। সারা দেশে গড়ে ৪৬ শতাংশ অপরাধের ক্ষেত্রে সাজা ঘোষণা হয়। কিন্তু ত্রিপুরায় এই গড় মাত্র ২২ শতাংশ।’
অন্যদিকে, উনকোটি জেলার চণ্ডীপুরে এক জনসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ‘ত্রিপুরায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় আমার মা-বোনেরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। সরকারের আর এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।’