নয়াদিল্লি:  দেশে বা বিদেশে কোথাও সন্ত্রাস হানা হলে, সেটা নিঃসন্দেহে একমুহূর্তে খবরের শিরোনামে পৌঁছে যায়। আর সেই সন্ত্রাস হামলার ফলে যদি বহু মানুষের মৃত্যু হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সংবাদমাধ্যম সেখবরকে বেশি গুরুত্ব দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে ভারতে সন্ত্রাস হামলার থেকে ছগুণ বেশি মৃত্যু হয় প্রেমে আঘাত পেয়ে। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গেছে গত পনেরো বছরে সন্ত্রাস হামলার থেকে ভারতে বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে প্রেমে আঘাত পেয়ে।


২০০১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রেমের কারণে ৩৮, ৫৮৫ টি খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২.৬ লক্ষ অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে প্রেমের কারণে। যেখানে অধিকাংশ মহিলাদেরই অপহরণ করা হয়েছে বিয়ের উদ্দেশ্যে। এই সমীক্ষাই বলছে এই একইসময়ে সন্ত্রাস হানার ফলে কুড়ি হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এই সংক্রান্ত একটি তথ্য বলছে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রেমে আঘাত পেয়ে মৃত্যুর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তারপর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ। এই জায়গাগুলোতে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে প্রেমের কারণ।  সেখানকার বিভিন্ন ঘটনা খতিয়ে দেখা গিয়েছে একসময়ের প্রেমিক প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নৃশংস হয়ে উঠেছেন। অনেক সময় প্রেমিকাকে রাগে ক্ষোভে খুন করেছেন, আবার অনেক সময়ে নিজেকেও শেষ করে দিয়েছেন সেই ব্যক্তি।

তবে প্রেমে ব্যর্থতার ফলে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবাংলায়। গত চোদ্দ বছরে পনেরো হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বাংলায়। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। পনেরো বছরে ৯ হাজার ৪০৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এরপর সেই তালিকায় রয়েছে অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের রিপোর্ট অনেকটা চেপে দেওয়া হয়েছে। ওই জায়গায় সম্মানরক্ষার্থে খুনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। বেশিরভাগ সময় পুলিশই আসল ঘটনা চেপে দেয়।