লখনউ: সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত সৈফুল্লাহ নিজে থেকেই মৌলবাদী হয়ে উঠেছিল বলে জানালেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি দলজিত্ চৌধুরি।
সাংবাদিকদের তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, আজকাল লোকে নিজে নিজেই উগ্র, মৌলবাদী ভাবাদর্শে দীক্ষিত হয়ে উঠছে। মৌলবাদী প্রচারপত্র পড়ে তাদের প্রভাবের আওতায় চলে আসছে। মৌলবাদী ভাবনাচিন্তার হদিশ পেতে সোস্যাল মিডিয়াও অনুসরণ করে এরা।
দলজিত্ জানান, লখনউয়ের সংঘর্ষস্থল থেকে আটটি প্রচারপত্র, তিনটি পাসপোর্ট, ৬০০-র বেশি কার্তুজ, বোমা তৈরির মালমশলা, টাইমার, তার, কম্পাস মিলেছে, পাশাপাশি ৪৫ গ্রাম সোনা, বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয়েছে।
তিনি বলেন, সিভিক পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসদমন শাখা অভিযান চালায়। আমরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছই, সেখানে স্বঘোষিত, নিজে থেকেই মৌলবাদী হয়ে ওঠা আইসিস সমর্থক ওই যুবক ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়, শহিদ হওয়ার কথা বলতে থাকে। ওকে বুঝিয়ে বের করে আনার চেষ্টা হয়। কিন্তু ও আমাদের গুলি ছুঁড়তে থাকে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। শেষ পর্যন্ত গুলি বিনিময়ের মধ্যে ও মারা যায়।
গতকালের ওই বাড়িতে লুকিয়ে ছিল যে ৪ যুবক, তারাই গতকাল সকালে ভোপাল-উজ্জ্বয়িনী যাত্রীবাহী ট্রেনে বিস্ফোরণে জড়িত ছিল বলে দাবি করেন দলজিত্।