এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের গো মন্ত্রিসভা বা কাউ ক্যাবিনেট, তার প্রথম বৈঠকে। গত নভেম্বরে গঠিত হয় ওই দপ্তর। দেশে প্রথম এ ধরনের কোনও ক্যাবিনেট তৈরি হয়েছে বিজেপিশাসিত হিন্দি বলয়ের এই রাজ্যেই। ৬টি দপ্তর মিলিয়ে গো দপ্তর তৈরি করেছে শিবরাজ প্রশাসন। পশুপালন, কৃষি, পঞ্চায়েত, বন, স্বরাষ্ট্র ও রাজস্ব---এতগুলি দপ্তরকে জুড়ে তৈরি করা হয়েছে গো ক্যাবিনেট।
কিন্তু কেন রাসায়নিক দিয়ে তৈরি ফিনাইল ফেলে গোমূত্র দিয়ে তৈরি ফিনাইল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত? পশুপালন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রেম সিংহ পটেলের দাবি, রাজ্যে গোমূত্রের বটলিং প্ল্যান্ট ও গোমূত্রের ফিনাইল কারখানা স্থাপন করাই এহেন সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, আমরা উত্পাদনের আগেই চাহিদা তৈরি করেছি। এবার লোকে যে গরু দুধ দিতে পারে না, তাদের পরিত্যাগ করতে পারবে না। এতে মধ্যপ্রদেশে গরু, গবাদি পশুদের অবস্থাও ভাল হবে।
গত ২২ নভেম্বর গোপাষ্টমীর দিন ২০১৭-য় আগর মালওয়ায় গঠিত গো অভয়ারণ্যে প্রথম বৈঠক হয় গো-ক্যাবিনেটের। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গো-ক্যাবিনেট গরুর সংরক্ষণ ও দেখভাল করার লক্ষ্যে কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রী তিরুমালা মন্দিরে ভগবান বেঙ্কটেশ্বরকে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। তখনই গো-মন্ত্রিসভা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাতে রাখা হয়েছে, নরোত্তম মিশ্র, মহেন্দ্র সিংহ শিসোদিয়া, কুনওয়ার বিজয় শাহ, কমল পটেলের মতো মন্ত্রীদের।
তবে কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বেসরকারি কোম্পানিগুলির তৈরি ফিনাইলের বিক্রি বাড়াতে চায়। কংগ্রেস বিধায়ক কুণাল চৌধুরি বলেছেন, কোনও পরিকাঠামো না গড়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরুদের অবস্থার সত্যিই যদি রাজ্য সরকার উন্নতি করতে চায়, তবে অন্তত রাজ্যে কিছু কারখানা শুরু করা উচিত ছিল। এবার গোমূত্রের চাহিদা পূরণ করা হবে উত্তরাখন্ডের একটি বেসরকারি কোম্পানিকে দিয়ে। যদিও বিজেপি মুখপাত্র রাহুল কোঠারি পাল্টা বলেছেন, কংগ্রেস নেতাদের অসার কথাবার্তা এসব। কোনও চাহিদা না থাকলে কেন কারখানা তৈরি হবে? রাজ্য সরকার ভাল সিদ্ধান্তই নিয়েছে, যা অন্য রাজ্যগুলিও অনুসরণ করবে।