শুক্রবার গভীর রাতে রাইসেন জেলার উদয়পুরায় বাপের বাড়িতে প্রীতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শোনা যাচ্ছে, গিরিজেশের সঙ্গে গাড়ি চালকের মেয়ে প্রীতির দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গিরিজেশ তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব নাকচও করেন তিনি। শেষমেষ গত বছর ২০ জুন হয় তাঁদের বিয়ে, আর্য সমাজি মতে। কিন্তু মন্ত্রী শ্বশুরমশাই ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা বিয়ে মেনে নেননি। ফলে বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, গত ৬ মাস ধরে গিরিজেশ প্রীতির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। বলতেন, বিয়ের সার্টিফিকেট তাঁর হাতে তুলে দিতে হবে। কিন্তু প্রীতি কোনওমতেই তাতে রাজি হননি। এরপর বাড়ির লোকের পছন্দমত আর একটি বিয়ে করতে উদ্যত হন তিনি। সেই খবর শোনার পর থেকেই প্রীতি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
উদ্ধার হয়েছে প্রীতির একটি সুইসাইড নোট। তাতে অবশ্য মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি তিনি। এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না পুলিশও। শুধু জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করছে তারা।