মুম্বই: রাষ্ট্রায়ত্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) প্রায় ৭০০০ কোটি টাকার ঋণ অনিশ্চিত আখ্যা দিয়েছে।অনাদায়ী এই ঋণের গ্রহীতাদের মধ্যে রয়েছেন লিকার ব্যারণ বিজয় মাল্য। এ নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে।  এরইমধ্যে ‘মাল্যর মতো’ তাঁর দেড় লক্ষ টাকার ঋণ মকুবের জন্য স্টেট ব্যাঙ্কের কাছে আর্জি জানালেন মহারাষ্ট্রের নাসিকের এক 'সাফাই' কর্মী।  এ ব্যাপারে স্টেট ব্যাঙ্কের কাছে আবেদনপত্রও পাঠিয়েছেন নাসিক জেলার ত্রম্বকেশ্বর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ভাউরাও সোনাওয়ানে। তিনি আর্জি জানিয়েছেন, ‘যেভাবে মাল্যর ঋণ মকুব করা হয়েছে’ সেভাবেই তাঁর ঋণও মকুব করে দেওয়া হোক।
সোনওয়ানে বলেছেন, ‘আমি ব্যাঙ্ককে চিঠি লিখে মাল্যর ঋণ মকুবের মতো ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি আমারও ঋণও মকুব করতে অনুরোধ জানিয়েছি।  আমি ছেলের চিকিত্সার জন্য ওই ঋণ নিয়েছিলাম’।
যদিও ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের উত্তর এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন সোনওয়ানে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঋণ অনিশ্চিত ঘোষণার প্রসঙ্গ সংসদেও উঠে আসে।
রাজ্যসভায় মোদীর ৫০০ এবং ১০০০ টাকা নোট বাতিল সিদ্ধান্তের আলোচনা প্রসঙ্গে বিজয় মাল্যের প্রসঙ্গটি তোলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। মোদীর এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘তাবড় তাবড় কুমীররা ঘুরে বেড়াচ্ছে আর ছোট মাছেরা মুশকিলে পড়ছে।’ এর পরেই তিনি বিজয় মাল্যের প্রসঙ্গ সামনে আনেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি জানান, ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই বিজয় মাল্যের ১২০০ কোটি টাকার ঋণ অনিশ্চিত ঘোষণা করেছে। এই তালিকায় রয়েছেন মাল্য ছাড়া আরও ৬১ জন বাকিদার। যাঁদের নেওয়া ঋণও একই ভাবে অনিশ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, এক দিকে যখন মোদী কালো টাকা বন্ধ করার জন্য নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেখানে  বিজয় মাল্যদের জন্য এমন ছাড় কেন?
ইয়েচুরির এই মন্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, বিজয় মাল্যের ঋণকে অনিশ্চিত আখ্যা দেওয়া হলেও তা ফিরিয়ে নিতে ব্যাঙ্ক বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, স্টেট ব্যাঙ্ক বিজয় মাল্যের ঋণকে অনিশ্চিত ঘোষণা করছেন ঠিকই, কিন্তু তার মানে ঋণ মকুব নয়। ঋণ আদায়ের কোনও চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকারের থাকবে না, এমনটাও নয়।