মুম্বই: বৃহন্মুম্বই পুরনিগমে এককভাবে লড়াই করে চমকপ্রদ ফল করল বিজেপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮২টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। সেখানে শিবসেনা পেয়েছে ৮৪টি আসন। তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস ৩১টি আসন পেয়েছে। এনসিপি ৯টিতে ও এমএনএস ৭টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে মুম্বইয়ে কোনও দলই ম্যাজিক ফিগার ১১৪-র ধারেকাছে নেই। ফলে আপাতত ত্রিশঙ্কু এই পুরসভা।

বৃহন্মুম্বই পুরনিগমে শিবসেনার সঙ্গে লড়াইয়ে লটারিতে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী অতুল শাহ। তিনি ২২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি এবং শিবসেনার সুরেন্দ্র বাগলকর দু জনেই ৫,৪৯৬টি করে ভোট পান। তিনবার গণনার পরেও কেউই না জেতায় শেষপর্যন্ত লটারি হয়। তাতেই জেতেন বিজেপি প্রার্থী।

শুধু মুম্বইয়েই ভাল ফল নয়, মহারাষ্ট্রের অন্যান্য জায়গাতেও পুরসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে বিজেপি। নাগপুর, আকোলা, পুনে, নাসিক, অমরাবতী এবং পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় পুরসভা নিজেদের দখলে নিতে চলেছে বিজেপি। থানেতে আবার শিবসেনা এগিয়ে।

তবে কংগ্রেসের ফল শোচনীয়। ভরাডুবির দায় নিয়ে সরতে চেয়েছেন প্রাক্তন দলীয় এমপি সঞ্জয় নিরুপম।নিরুপমকে বিপর্যয়ের জন্য কাঠগড়ায় তুলে নারায়ণ রানে বলেছেন, উনি জেতার জন্য একেবারেই চেষ্টা করেননি।

একইসঙ্গে আজ জানা যাবে মহারাষ্ট্রের ২৫টি জেলা পরিষদ কাদের দখলে গেল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মারাঠাওয়াড়ার লাতুর, বুলধনা, ওয়ার্ধা, চন্দ্রপুর ও গড়চিরৌলিতে এগিয়ে বিজেপি। সিন্ধুদুর্গ ও রত্নাগিরি জেলায় অবশ্য শিবসেনার ভাল ফলের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের এই ১০টি পুরনিগমে ৫৬ শতাংশ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৃহন্মুম্বই পুরনিগমে পড়েছে ৫৫ শতাংশ ভোট।

এই আঞ্চলিক ভোটে বিজেপি ও তাদের বিক্ষুব্ধ জোটসঙ্গী শিবসেনার জোট হয়নি, আলাদা লড়েছে দু’দল। ফলে দু’পক্ষেরই একে অপরকে দেখিয়ে দেওয়ার তাগিদ রয়েছে। এই ভোট ব্যক্তিগত লড়াই হিসেবে ধরে নিয়ে তুমুল প্রচার চালিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সামান্য পুরনিগমের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট, আড়াই বছর পর বিধানসভা ভোটের ম্যাচ প্র্যাকটিস এখানেই সেরে রাখতে চান তিনি। একইভাবে শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরেও তীব্র প্রচার চালিয়েছেন।

অন্যদিকে ময়দানে রয়েছে শরদ পওয়ারের এনসিপি, কংগ্রেস। রয়েছে রাজ ঠাকরের এমএনএস-ও।