মুম্বই: পাত্রীর দেখতে ভাল না হওয়া, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও ভারতে পণপ্রথা রমরম করে চলার পিছনে বড় কারণ। এমনটাই পড়ানো হচ্ছে মহারাষ্ট্রের সরকারি স্কুলে। রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সমাজবিদ্যার বইয়ে এ কথা লেখা রয়েছে। 'মেজর সোস্যাল প্রবলেমস ইন ইন্ডিয়া' নামের বইয়ে পাত্রী দেখতে কুৎসিত, প্রতিবন্ধী হলেই পাত্রপক্ষ চড়া পণ চেয়ে বসে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, ধর্ম, জাতপাত ব্যবস্থা, সামাজিক মানমর্যাদা, ক্ষতিপূরণ আদায়ের মানসিকতা তো আছেই, মেয়ে কুরূপা হলেও পণের চাপ বেড়ে যায়।
বইয়ে লেখা রয়েছে, কোনও মেয়ে কুত্সিত, প্রতিবন্ধী হলে তার বিয়ে হওয়া খুবই কঠিন। এমন মেয়েকে বাড়ির বউ করে নিতে পাত্র, তাঁর পরিবার বেশি পণ চেয়ে বসে। মেয়ের বাপ-মায়েরা অসহায় হয়ে পাত্রপক্ষের দাবি মেটাতে বাধ্য হন। এভাবেই দেশে পণপ্রথার দাপট বাড়ছে।
যে বইয়ে কার্যত পণপ্রথার দায় পাত্রীর ওপর চাপানো হয়েছে, তা নিয়ে লিঙ্গ সমতার অধিকারের দাবি করা সংগঠনগুলি আপত্তি তুলতে পারে বলে জানানো হলে মহারাষ্ট্র রাজ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান গঙ্গাধর মামানে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অবশ্যই আলোচনা করব।