মাহিম: ৪ দিনের জন্য গিয়েছিলেন ব্যবসায়িক কাজে দুবাই গিয়েছিলেন মা! তারপর লকডাউনের জেরে সেখানেই আটকে পড়েছেন প্রায় ৭০ দিন ধরে। মুম্বইয়ের মাহিমের বাড়িতে মায়ের অপেক্ষায় একা রয়েছে কিশোরী মেয়ে!

করোনা আতঙ্কে গোটা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে আন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। আক্রান্তের বর্তমান সংখ্যা ৪৭১৯০। সেখানেই মায়ের অপেক্ষায় রয়েছে এক ক্লাস নাইনের কিশোরী শায়লা। ব্যবসায়িক কাজে দুবাই গিয়েছিলেন মা রুচিরা ভার্মা।  ৪ দিনেই কাজ মিটিয়ে বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিমানযাত্রা করার দিনই ঘোষণা হয় লকডাউনের, বাতিল হয়ে যায় বিমান। দুবাইতেই আটকে পড়েন রুচিরা।

সিঙ্গল মাদার রুচিরা জানান, তিনি একাই মানুষ করছেন মেয়েকে। মাহিমের আবাসনে মেয়ের সঙ্গেই থাকেন তিনি। দুবাইতে একমাত্র তাজ হোটেল খোলা রয়েছে। বাধ্য় হয়ে সেখানেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় ধারও করতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুবাইতে তাঁর কোনও চেনা পরিচিতি নেই। তাই বাধ্য হয়ে ভরসা সেই হোটেলই। জাতীয় কংগ্রেস দলের নেত্রী সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে ট্যুইটারে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। নিজের সমস্ত পরিস্থিতির কথা জানিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন ফেরার বিশেষ ব্যবস্থা করার। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ থাকায় লাভ হয়নি তাতে। সেখান থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হলেই তাঁকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। মুম্বইতে মেয়ে একা রয়েছে এই কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন রুচিরা।

অন্যদিকে মাহিমের বাড়িতে একাই রয়েছে সান্তক্রুজের পোদ্দার স্কুলের পড়ুয়া শায়লা। বাড়িতে একা থেকে, ঘরের কাজ সামলে সে শুরু করে দিয়েছে অনলাইন ক্লাসও। মা তাঁর জন্য রেখে গিয়েছিলেন একটি ফোন। আপাতত সেই ফোনেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে সে। সেখান থেকেই মেসেজ করে জানান, 'আমি কেবল মায়ের ফেরার অপেক্ষা করছি। মাকে জড়িয়ে ধরার জন্য আর অপেক্ষা করতে ভালো লাগছে না!'