নয়াদিল্লি: দিল্লির গ্রেটার কৈলাসে কাজের লোকের হাতে ছুরিকাহত হয়েছেন সত্তরোর্ধ এক মহিলা। তাঁর অপরাধ, পরিচারিকা তুলসীকে এক কথায় ৫ লাখ টাকা ধার দিতে রাজি হননি তিনি।

আহত মহিলার নাম নীরজ গুপ্ত। তাঁর স্বামী পি এস গুপ্তর স্টিল নির্মাণের ব্যবসা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ তুলসী যখন কাজে আসে, ৭৩ বছরের নীরজ বাড়িতে একাই ছিলেন। তুলসী তাঁকে বলে, মায়ের চিকিৎসার জন্য তাকে ৫ লাখ টাকা ধার দিতে। ওই টাকা তখনই জমা করতে হবে তাকে, শিগগিরই শোধ দিয়ে দেবে সে।

নীরজ বলেন, তাঁর কাছে অত টাকা নেই, জোগাড় করতে সময় লাগবে। অভিযোগ, এরপরই তুলসী ছুরি বার করে বলে, মালকিনের গলা কেটে দেবে সে, যদি তখনই টাকা না দেওয়া হয়। নীরজ চিৎকারের চেষ্টা করলে তাঁর বুকে ছুরি মারে সে। সত্তরোর্ধ মহিলা বুঝতে পারেন, তাঁকে খুন করা হতে পারে, তিনি কোনওক্রমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তুলসীও ছুটে বেরিয়ে এসে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেয়। ধস্তাধস্তিতে তারও পায়ে আঘাত লাগে। এরপরই দক্ষিণ দিল্লির টিকরি এলাকায় নিজের বাড়িতে চম্পট দেয় সে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বাড়ি গিয়ে তুলসী ভাইকে বলে, ডাকাতরা তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল, ছুরি নিয়ে তারা তাকে আক্রমণ করে। তারপর জিনিসপত্র কেড়ে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে দিয়ে যায়। তুলসীর ভাই পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে নিয়ে যায় এইমসে।

হামলার পর অজ্ঞান হয়ে যান নীরজ। জ্ঞান ফিরে পেয়ে স্বামী ও ছেলেকে ফোন করেন তিনি। তাঁরাও তাঁকে এইমসে নিয়ে যান, খবর দেন পুলিশে। হাসপাতালে নীরজ পুলিশকে বলেন গোটা ঘটনা।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মিথ্যে গল্প ফেঁদেছে তুলসী। শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয় তাকে।