ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-র আইনজীবী জামিন আর্জির বিরোধিতা করেন। কিন্তু বেঞ্চ বলে, সামঞ্জস্যতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হাত-পা বাঁধা।
উল্লেখ্য, গত আগস্টে এই মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিতের জামিন মঞ্জুর করেছে। হাইকোর্টের বেঞ্চ জানতে চায়, বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে প্রধান অভিযুক্ত পুরোহিতের তুলনায় উপাধ্যায়ের ভূমিকা আরও বেশি ছিল কিনা।
উপাধ্যায়ের আইনজীবী তা খারিজ করেন এবং বলেন যে, পুরোহিতকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তিনি হাইকোর্টকে আরও জানান যে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর একটি নিম্ন আদালতে এই মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত সুধাকর চতুর্বেদী ও সুধাকর ধর দ্বিবেদীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
এনআইএ-র আইনজীবী বলেন, বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র রচনার ক্ষেত্রে উপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল। অভিনব ভারত গোষ্ঠীর বিভিন্ন বৈঠকে তিনি ছিলেন এবং এই বৈঠকগুলিতে উপাধ্যায়ের উপস্থিতি প্রমাণ হিসেবে ভিডিও রেকর্ডিং তদন্ত সংস্থার হাতে রয়েছে।
গত নভেম্বরে নিম্ন আদালতে উপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে বিচারপতি মোরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের জামিন মঞ্জুর করেছিল। এনআইএ ওই সময় আদালতকে বলেছিল, প্রজ্ঞাকে জামিন দেওয়া হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই।
ওই সময় হাইকোর্ট কর্নেল পুরোহিতের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন পুরোহিত। সেখানে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়।