হায়দরাবাদ: ব্যাঙ্কের চেক বাউন্স করার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন বিজয় মাল্য। জিএমআর হায়দরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দায়ের করার মামলায় লিকার ব্যারনকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। তবে, সাজা ঘোষণা হয়নি। জিএমআর-এর কৌঁসুলি অশোক রেড্ডি জানান, আগামী ৫ মে এই মামলায় সাজা শোনাবে আদালত।


প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর ও মাল্যর মধ্যে এই বিবাদ দীর্ঘদিনের। প্রাপ্য অর্থ না দেওয়ার জন্য ২০১২ সালে প্রথমে মাল্যর বিমান পরিবহণ সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল জিএমআর। কিন্তু, মাল্য টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তখনকার মতো মামলা প্রত্যাহার করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর কিছু অর্থ মেটালেও, বাকি অর্থ মেটানোর সময় বাধে বিপত্তি।

কিংফিশারের চেক বাউন্স করায় ফের আদালতের শরণাপন্ন হয় জিএমআর। তাদের অভিযোগ ছিল, কিংফিশারের তরফে তাদের প্রাপ্য ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের চেক দেওয়া হয়। কিন্তু, ব্যাঙ্কে তা খারিজ হয়ে যায়। মামলার শুনানিতে এর আগে বিজয় মাল্যর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

সেখানেই এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার আওতায় শিল্পপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বিজয় মাল্যর আইনজীবী সুধাকর রাও জানান, যেহেতু তাঁর মক্কেল আদালতে হাজির ছিলেন না, তাই আদালত শাস্তি ঘোষণা করেনি।

এদিকে, ৯ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ ফেরত না দেওয়ার জন্য মাল্যর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি-র সুপারিশে মাল্যর কূটনৈতিক পাসপোর্ট চার সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করে বিদেশমন্ত্রক। এর ঠিক দু-দিন আগেই এই ঘটনায় বিজয় মাল্যর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে আদালত।