নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জনৈক অফিসার জানিয়েছেন, মেহর্ষির নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদলটি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, ব্রিটেন থেকে যাকেই প্রত্যর্পণের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হয়, তাকে ইউরোপের জেলগুলির মতো সমান সুযোগসুবিধাযুক্ত সঠিক জেলে রাখা হয়। কিন্তু প্রত্যর্পণ মারফত নিয়ে আসা কাউকেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাড়তি খাতির করা হবে না, তাঁকে অন্য যে কোনও বন্দির মতোই দেখা হবে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে ভারতের এই বক্তব্য লন্ডনের আদালতে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিনিধিরা ব্রিটিশ অফিসারদের বলেছেন, ভারতের জেলের কুঠুরি ইউরোপের জেলের তুলনায় আয়তনে বড়। সব জেলে উন্নত হাসপাতালের সুবিধাও রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসারটি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকারকে আর্থার রোড জেলের পরিবেশ আরও ভাল করতে বলেছে। ব্রিটেন থেকে নিয়ে আসা হলে সেখানেই রাখা হবে মাল্যকে।
২০১৬-র মার্চ থেকে লন্ডনে রয়েছেন মাল্য। তাঁকে ভারতে ফেরানোর ব্যাপারে মামলা চলছে লন্ডনের আদালতে।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি হ্যামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ভারতে আর্থিক অপরাধে অভিযুক্তদের ফেরত্ পাঠানোর ব্যাপারে ব্রিটেনের সহযোগিতা চেয়েছেন।