ভুবনেশ্বর: বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক জোটের জল্পনা ফের উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, ভুবনেশ্বরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে পাশে নিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মজবুত করতে আঞ্চলিক দলগুলির সহাবস্থান জরুরি।
পুরীতে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুবনেশ্বরে তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কাজটা শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়েই বললেন, আঞ্চলিক দলগুলিই বিজেপিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম। এদিন মমতা বলেন, বিজেপি কোনও থ্রেট নয়। আঞ্চলিক দলগুলি এটা মোকাবিলা করতে যথেষ্ট।
বৃহস্পতিবার নবীন পট্টনায়েকের বাসভবনে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর ১৫ মিনিটের একান্ত বৈঠক। সূত্রের খবর, আঞ্চলিক দলগুলির একজোট হওয়া নিয়ে এই বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। যদিও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটা সৌজন্যমূলক বৈঠক। বলেন, নো পলিটিক্যাল ডিসকাশন।
কিন্তু, নবীন পট্টনায়েককে পাশে দাঁড় করিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও আঞ্চলিক দলগুলির একজোট হওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তৃণমূলনেত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মজবুত করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির একসঙ্গে থাকা উচিত। আঞ্চলিক দলগুলির সহাবস্থান জরুরি।
দিন চারেক আগেই ভুবনেশ্বরে বসে বঙ্গ ও কলিঙ্গ জয়ের ডাক দিয়েছেন মোদী-অমিত শাহরা। বিজেপির লক্ষ্য স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীন পট্টনায়েককে সরিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল। এই প্রেক্ষাপটে এদিন ফের একবার মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, বিজেপি সম্প্রদায়গত ভাগ করে। দল ভাঙার রাজনীতি করে। জাতপাতের রাজনীতি করে। হিন্দুদের মধ্যেই বিভাজন করে ওরা। আমরা বিভাজনের রাজনীতি করিনা।
যদিও, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা বাংলায় হালে পানি পায়না, তখন দিল্লির দিকে তাকায়। ওসব লাভ হবে না। ওড়িশায় ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দল একসময় বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু, বিজেপিই এখন ওড়িশা দখলে ঝাঁপানোর, এখন সম্মুখ সমরে দু’দল। ওড়িশায় দলের কর্মসমিতির বৈঠকেই অমিত শাহ বলেছেন, এখনও বিজেপির স্বর্ণযুগ আসেনি। বাংলা, কেরল, ওড়িশায় জিততে হবে।
এই প্রেক্ষাপটে মুখোমুখি দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যা উসকে দিল মোদী বিরোধী আঞ্চলিক জোটের জল্পনা।