নয়াদিল্লি: নোট বাতিল ইস্যুতে এবার তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় বিঁধল বিজেপি। মমতাকে হাওলা কারবারী ও চোরাচালানকারীদের ‘চিয়ারলিডার’ বলে বিদ্রুপ করেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। তাদের অভিযোগ, নোট বাতিল করে নরেন্দ্র মোদী সরকার কালো টাকার ওপর যে আঘাত হেনেছে তাতে ‘মানসিক ভারসাম্য’ হারিয়ে ফেলেছেন তৃণমূল নেত্রী।


উল্লেখ্য, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সিপিএমকেও সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এজন্য মমতাকে কটাক্ষ করে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেছেন, নোট বাতিলের কারণে চিটফান্ড কোম্পানিগুলির নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। এই কোম্পানিগুলির জন্ম বাম আমলে। এই কোম্পানিগুলি ফুলেফেঁপে ওঠে তৃণমূলের আমলে। এখন বামেদের আমলে গড়ে ওঠা চিটফান্ডগুলি বাঁচাতে তাদের সমর্থন চাইছে তৃণমূল।

মমতাকে ‘সারদা দুর্নীতির রানি’ বলেও তোপ দেগেছেন সিদ্ধার্থনাথ। তিনি বলেছেন, ‘মমতা নিজেকে হাওয়ালা কারবারী ও চোরাচালানকারী ও অন্যান্য দেশবিরোধী শক্তির চিয়ারলিডার হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি এখন বিজেপিকে কোণঠাসা করতে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে চাইছেন। সারদা রানি এবং কংগ্রেস, এসপি, এবিএসপির মতো দলগুলি কালো টাকার মূলে মোদী সরকারের চরম আঘাতের সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে উঠেছে’।

মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি নেতা খাগড়াগড় বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশকে থেকে আসা জিহাদিদের বিরুদ্ধে এনআইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ‘ক্ষুব্ধ’ মমতা। কারণ ওই জঙ্গিরা রাজ্যে নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছিল এবং তৃণমূলের ‘সমাজবিরোধী শক্তি’কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ সিদ্ধার্থনাথের।

বিজেপি নেতা আরও বলেন, ঢাকার গুলশন বেকারিতে হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিরা মালদায় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে হাতে পেল, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে মমতাকে। এ ব্যাপারে এনআইএ রিপোর্টও রয়েছে মন্তব্য করে সিদ্ধার্থনাথের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রর কারিগর এসেছিল পাকিস্তান থেকে। এজন্যই জঙ্গিরা যে বন্দুক ব্যবহার করেছিল তা হল একে ২২, যা পাকিস্তানে তৈরি।