নয়াদিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের বৈঠক নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়ে মোদী-শরিফের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে আনল শরিক শিবসেনা। বড় শরিকের সমালোচনা করার পাশাপাশি দলীয় সম্পাদকীয়তে করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা। যা নিয়ে এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তোলপাড়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদ্ধব ঠাকরের বৈঠক নিয়ে কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র সরকারের দুই শরিক বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে এখনও চলছে তীব্র বাকবিতণ্ডা। যার জেরে এই দুই দলের জোটের ভবিষ্যৎ ঘিরে নতুন করে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শরিক দলের প্রধানের বৈঠক বিজেপি যে ভাল চোখে দেখছে না তা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে। এরপরই, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিজেপিকে একহাত নিয়েছে শিবসেনাও।
দলের মুখপত্র ‘সামানা’-তে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করেছে গেরুয়া শিবিরের এই অন্যতম শরিক। সম্পাদকীয়র শিরোনাম ছিল ‘হ্যাঁ, মমতার সঙ্গে দেখা করা হয়েছে..’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাঁ, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। তাতে যদি কারও পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়, সেটা তাদের দোষ। বাজপেয়ীর আমলে এনডিএ-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মমতার। তিনি সরকারেও ছিলেন।
মমতা-উদ্ধব বৈঠকের নিয়ে বিজেপির কটাক্ষের জবাবে, এদিন শিবসেনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বৈঠক টেনে আনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবছর আগে আফগানিস্তান থেকে ফেরার সময়ে মোদী পাকিস্তানে গিয়ে শরিফকে ‘আলিঙ্গন’ করেছিলেন। ওনার সঙ্গে ‘চায় পে চর্চা’ করেন। শিবসেনার প্রশ্ন, পাকিস্তানের মত কট্টর শত্রুদেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে এহেন আচমকা সাক্ষাতের প্রয়োজন কী ছিল? ওই সাক্ষাতের ফলে যে শত্রুতা চায়ের কাপে গলে গিয়েছে, তাও নয়।
বিজেপির সমালোচনা করার পাশাপাশি, সম্পাদকীয়তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে শিবসেনা। সেখানে বলা হয়, ইভিএম না কিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজ্যে বামপন্থীদের পরাস্ত করেছেন। বিজেপিকে শিবসেনার প্রশ্ন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে শোরগোল হচ্ছে। অথচ, জম্মু ও কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতি সরকারের সঙ্গে মিলে কোন বাগান তৈরি করা হয়েছে? বড় শরিককে ছোট শরিকের কটাক্ষ, কাশ্মীরে পাক-পন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিলে ক্ষমতা ভোগ করছে, আর এখানে অন্যদের মুসলিম বলে আক্রমণ করছে।