ঝাবুয়া (মধ্যপ্রদেশ): নিষিদ্ধ হলেও তিন তালাক চলছেই। মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ায় এক ৩২ বছরের ব্যক্তিকে স্ত্রীকে একতরফা তিন তালাক দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার মেঘনগর থানায় ওই মহিলা নালিশ জানানোর পর আরিফ হুসেন নামে লোকটিকে মুসলিম মহিলা (বিয়ে সংক্রান্ত অধিকার রক্ষা আইন ২০১৮-র আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ (এ) (মহিলার ওপর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নিষ্ঠুরতা) ও ৩২৩ (আঘাত করা) ধারায় আরিফ অভিযুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মহেশ চন্দ্র জৈন।
মহিলার অভিযোগ, প্রায় ১০ বছর হল তাঁর সঙ্গে আরিফের বিয়ে হয়েছে। প্রথম দু বছর সব ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু দুটি বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর তিনি মোটা হতে থাকেন, যা নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কটাক্ষ, বিদ্রূপ শুরু হয়। তা থেকে চলে হেনস্থা, নির্যাতন। সামান্য তুচ্ছ কারণে স্বামী, শাশুড়ি মারধর করত বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা। ১১ অক্টোবর তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা। মহিলা বাধ্য হয়ে ভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন সেখানে হাজির হয় আরিফ ও তার মা। কথাকাটাকাটির পর স্বামী তাঁকে মায়ের নির্দেশে তালাক দেয় বলে জানিয়েছেন মহিলা।
পুলিশের মত, কেন্দ্র তিন তালাক সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারির পর সম্ভবত মধ্যপ্রদেশে এটাই প্রথম তিন তালাকের ঘটনা। গত আগস্টেই সুপ্রিম কোর্ট তাত্ক্ষণিক তিন তালাক প্রথা বেআইনি ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করে। অর্ডিন্যান্সে তিন তালাক ঘোষণায় স্বামীর তিন বছর কারাবাসের বিধি রয়েছে।