নয়াদিল্লি: প্রেমে পড়েছিল বছর ৪০-এর এক গৃহবধূ। প্রেমের পথের বাধা দূর করতে স্বামী ও শাশুড়িকে খুনের ছক কষে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল প্রেমিক ও ওই গৃহবধূ।

পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম দিল্লির ভালসওয়া ডেয়ারি এলাকায় গত মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে জখম অবস্থায় এবং পরিবারের বাকি চার সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যদিও বাড়িটি থেকে কোনও মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমে এই বিষয়টি নিয়ে খটকা লাগে পুলিশের। বুঝতে পারে, চুরির জন্য এই ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার পিছনের পরিবারের পরিচিত কারুর জড়িত থাকার সন্দেহ করে পুলিশ।

পরিবারের সদস্যদের ফোন কলের বিস্তারিত খতিয়ে দেখে পুলিশ ওই গৃহবধূর সঙ্গে আব্দুল নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা জানতে পারে। পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে ওই মহিলা। তিনি জানান, প্রায় বছর দেড়েক তাঁর সঙ্গে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর  বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক  রয়েছে। আব্দুলের জিমে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। আব্দুলের সঙ্গে সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই আপত্তি ছিল পরিবারের। এজন্য মহিলা তার প্রেমিকের সঙ্গে স্বামী অনুপ ও শাশুড়ি নারায়ণী দেবীকে খুনের ছক কষে।

গত ১৯ জুন রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। সবাই অচেতন হয়ে পড়লে সে স্বামী ও শাশুড়িকে খুনের চেষ্টা করে। এরপর সন্দেহে এড়াতে ওই মহিলাও ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খেয়ে নেয়।

পুলিশ আব্দুলকে হেফাজতে নিয়েছে। ওই মহিলা ও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই মহিলাকে গ্রেফতার করা হবে।