ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে পাথরের ঘায়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। অবিনাশ সাহু নামে ১৮ বছর বয়সি ছেলেটি ধর্ষিতার পূর্বপরিচিত বলে জানা গিয়েছে। তাকে ধর্ষণ, খুনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও শিশুদের যৌন নিগ্রহ রোধ আইনের নানা ধারায় গ্রেফতারির কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশি সূত্রে প্রকাশ, মেয়েটি গত মঙ্গলবার বিকালে আত্মীয়ার সঙ্গে স্থানীয় জৈন মন্দিরে গিয়েছিল। অভিযুক্ত সেখানে হাজির হয়। আত্মীয়াটি সঙ্গে ছিলেন না, তখন মেয়েটিকে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সে, তারপর পাথর দিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বুধবার গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে ভোটের মরসুমে কিশোরী ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। এজন্য ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বাধ্বী প্রজ্ঞা রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেন, মেয়ের নির্মম মৃত্যুর জন্য তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে পড়া ধর্ষিতার মাকে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালেও নিয়ে যান। ট্যুইট করে লেখেন, বেটি, আমরা বদলা নেব।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে নিশানা করে স্বাধ্বী লেখেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেহাল। কমলনাথ শুধুই ছিন্দওয়ারার মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ছিন্দওয়ারা মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র।
মধ্যপ্রদেশে বিগত বিজেপি সরকার আইন করে কিশোরী ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। কিন্তু তারপরও ধর্ষণ বন্ধ হয়নি। সরকারি পরিসংখ্যানেই প্রকাশ, ২০১৬ ও ২০১৭, দুবছরই দেশে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয়েছে সেখানে।
গত বছর জুলাইয়ে রাজ্যের মন্দশৌরে স্কুলের বাইরে থেকে সাত বছরের একটি মেয়েকে দুজন অপহরণ করে ধর্ষণ করে গলা কেটে ফেলে রেখে চলে যায়। সে সময় কমলনাথ বিরোধী নেতা। তিনি ট্যুইট করেছিলেন, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ নথিভুক্ত হওয়ায় ইতিমধ্যেই কুখ্যাতি অর্জন করেছে মধ্যপ্রদেশ। কবে এমন ঘটনা বন্ধ হবে? আমাদের মা, বোনেরা নিরাপদ বোধ করবেন নিজেদের?