দ্বারভাঙা: রাস্তার মোড়ের নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে হবে কিনা, এই নিয়ে বিতর্কের জেরে ৪০-৫০ জনের একটি দল চড়াও হয় এক বৃদ্ধের ওপর। মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় বছর ৭০-এর ওই বৃদ্ধের! ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের দ্বারভাঙায়। নিহত ব্যক্তি বিজেপির এক স্থানীয় নেতার বাবা। ওই নেতার ভাইও হামলায় জখম হয়েছেন। চারজনকে এপর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার, সদর থানার ইনচার্জের সাসপেনশনের দাবিতে আজ বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
মাথা কাটা যাওয়া বৃদ্ধের নাম রামচন্দ্র যাদব। তিনি তেজনারায়ণ যাদব নামে বিজেপি নেতার বাবা। তেজনারায়ণ বেহালা পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির শীর্ষ নেতা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রামচন্দ্রের মাথা, হাতে আঘাত করা হয় প্রথমে, শেষে তরবারির আঘাতে তাঁর শিরচ্ছেদ করা হয়।
২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে দ্বারভাঙার ভাদাহা গ্রামের একটি মোড়ের নাম রেখেছিলেন তেজনারায়ণ। কিন্তু আরেকটি দলের দাবি ছিল, মোদী নন, নামকরণ করতে হবে আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদবের নামে। সেই মতান্তরের পরিণামেই এই নৃশংস খুন।




তেজনারায়ণ বলেন, ২৫-৩০টা বাইকে চেপে হাতে হকি স্টিক, তরোয়াল নিয়ে চড়াও হয় ৪০-৫০ জনের একটি দল। আমার বাবা তাদের বোঝাতে গেলেন, কিন্তু তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হল। ওরা ভাইকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করে।
দ্বারভাঙার ডিএসপি দিলনওয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। রাতের মধ্যেই অপরাধীরা গ্রেফতার হয়। সব সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে।
একটি সূত্রের দাবি, পুলিশ নাকি বলেছে, পারিবারিক স্তরে ব্যক্তিগত শত্রুতার ফলেই এই হামলা।
নিহত রামচন্দ্র যাদবের আরেক ছেলে কমলেশ যাদব বলেছেন, গতকাল ওই চকের নাম নরেন্দ্র মোদীর নামে করার বিরোধী আরজেডি সমর্থকরা হামলা করে। মোদীর নাম লেখা ফলক উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে তারা। আমরা প্রতিবাদ করলে ওরা বলে, লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে আরজেডির বিপুল জয়ে দলের পুনরুজ্জীবন হয়েছে, তারা তাই ওই
মোড়ের নাম লালুপ্রসাদ যাদবের নামে করতে চায়।
বিহার বিজেপি মুখপাত্র রাজীব রঞ্জনের অভিযোগ, এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে, আরজেডি গুন্ডাবাজি, দুর্নীতিতে বিশ্বাসী। মাত্র দুটো আসনে ফের জিতেই বিহারের মানুষকে ভীত, সন্ত্রস্ত করতে চায় ওরা।