নয়াদিল্লি: দেশের অন্যতম নামী হাসপাতাল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এইএমএস) পাঁচ মাস ধরে ডাক্তার সেজে ছিল দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা এক তরুণ। শেষপর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এতদিন কেন তাকে চিহ্নিত করা গেল না, সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এইএমএসের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তরুণের নাম আদনান খুররম (১৯)। তার বাড়ি বিহারের সীতামারি জেলায়। শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে সে জানিয়েছে, তার বোন যাতে এইএমএসে ঠিক সময়ে ভর্তি হতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই সে ডাক্তার সেজে ছিল। সে এইএমএসের ডাক্তার ও ছাত্রদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য নির্দিষ্ট একটি ডায়েরিও জোগাড় করেছিল সে। এইএমএসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দিত সে। তবে এতদিন ধরে সবার চোখে ধুলো দিতে পারলেও, শনিবার সে ধরা পড়ে যায়। সেদিন এইএমএসে ম্যারাথন ছিল। সেখানে যোগ দিতে আসে আদনান। তখনই তাকে চিহ্নিত করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ডাক্তাররা যখন তাকে জেরা শুরু করেন, তার কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হস্টেলে থাকা এক ডাক্তারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে আদনান। সে জুনিয়র ডাক্তারদের ডায়েরি জোগাড় করে তার মধ্যে নিজের নাম লেখে। এভাবেই নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিচ্ছিল এই তরুণ। সে ডাক্তারদের সাদা কোট পরে হাতে স্টেথোস্কোপ নিয়ে তোলা ছবিও পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ডাক্তাররাই তার বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ জানান। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় আদনানকে।