জয়েশ রাঠোর আহমেদাবাদের নারোদা এলাকার বাসিন্দা। একটি কারখানায় কাপড় সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। পরিবারে কেউ না থাকার কারণে, অনেকদিন ধরেই বিয়ের চেষ্টা করছিলেন জয়েশ। কিন্তু আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না হওয়ার কারণে রাজি হচ্ছিলেন না কোনও পাত্রী। জয়েশ প্রস্তুত ছিলেন অন্য জাতে কোনও মেয়েকে বিয়ে করার জন্যেও।
অবশেষে জয়েশের এক আত্মীয় তাঁর বিয়ের কথা পাকা করেন। জয়েশ জানান, নিজের বাড়ি না থাকার কারণে পাত্রী পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু রাজস্থানের এক আত্মীয়ের সূত্র ধরে পাকা হয় তাঁর বিয়ে। পাত্রীর নাম কলাবতী। গত বছরের অগাস্ট মাসে বিয়ে হয় জয়েশের।
কলাবতীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই বিয়ের জোগাড় করার জন্য তাঁদের টাকা লাগবে। জয়েশ পাত্রীর পরিবারকে ১.৫৫ লাখ টাকা দেন সমস্ত ব্যবস্থা করার জন্য। কলাবতীর ভাই জানান, ৫ মাসের মধ্যে ধার শোধ করে দেবে পরিবার।
কিন্তু বিয়ের এক মাসের মাথাতেই ছন্দপতন। বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় জয়েশের নববধূ। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি জয়েশ।
এরপর করোনাভাইরাস, লকডাউনের জেরে স্ত্রীর ফিরে আসার হাল কার্যত ছেড়ে দেন জয়েশ। কলাবতীর পরিবারের কাছে গিয়ে ওই ১.৫৫ লাখ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। অভিযোগ, টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি তাঁকে। উপরন্তু খুনের হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় জয়েশকে।
উপায়ান্তর না দেখে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন জয়েশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।