নয়াদিল্লি: চিরাগ দিল্লি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে তাণ্ডব চালাল জামাই। এমনকী রাগের চোটে নিজের মেয়েকে ওপরের বারান্দা থেকে ফেলে দিয়েছে সে। অভিযুক্তের শাশুড়ি জামাইয়ের বাঁশের ঘায়ে প্রাণ হারিয়েছেন, আরও ৪জন আহত অবস্থায় এইমসে ভর্তি। অভিযুক্তকে পাড়া প্রতিবেশীরা ধরে ফেলে প্রচণ্ড মারধর করেছেন। সে আপাতত হাসপাতালে, লড়াই করছে মৃত্যুর সঙ্গে।


চিরাগ দিল্লির মালব্য নগরের জাতাভ বস্তিতে শুক্রবার রাতে ঘটেছে এই ঘটনা। অভিযুক্তের নাম চিন্টু। শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়ে প্রথমে স্ত্রী রেণুর ওপর একটি তাঁবু বাঁধার খোঁটা নিয়ে চড়াও হয় সে। রেণুর মা রোশনি বাধা দিলে তাঁর মাথায় ওই খোঁটা দিয়ে আঘাত করে। হামলা চালায় বৃদ্ধ শ্বশুর ত্রিলোক চাঁদের ওপরেও।

এরপর রেণুকে দোতলার বারান্দায় সে টেনে নিয়ে যাওয়ায় তাদের ২ ছেলেমেয়ে নেহা ও লাড্ডু কান্নাকাটি শুরু করে। রাগের মাথায় ৭ বছরের নেহাকে বারান্দা থেকে ফেলে দেয় অভিযুক্ত।

তারপর ওই তাঁবুর খোঁটা ফেলে সে পালাতে চেষ্টা করতে প্রতিবেশীরা ধরে ফেলেন তাকে। প্রচণ্ড মারধর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় এইমসের ট্রমা সেন্টারে, সেখানে রোশনিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ত্রিলোক চাঁদ কোমায় রয়েছেন।

জানা গেছে, ৮ বছর বিবাহিত জীবন কাটিয়ে দেওয়ার পরেও চিন্টু ও তার পরিবার রেণুর ওপর পণের দাবিতে অত্যাচার চালাত। তাই তিনি বাপের বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হন। কিছুদিন আগে দু’পক্ষ ঠিক করে, এবার থেকে রেণু বাপের বাড়িতেই থাকবেন। কিন্তু তা মানতে রাজি হয়নি চিন্টু। সেই রাগ থেকেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।