৩২ বছরের মারুতি অটোরিক্সায় চেপে আদালতে যাচ্ছিলেন। মাঝপথেই দুইজন তাঁকে অটোরিক্সা থেকে টেনে নামায়। পালানোর চেষ্টা করেন মারুতি। কিন্তু মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরপরই অভিযুক্তদের একজন মারুতিকে মাটিতে চেপে ধরে। অন্যজন কুড়ুল দিয়ে কোপাতে থাকে। মারুতি নিথর না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে এই হামলা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় ১১ বার কোপ মারা হয় মারুতির দেহে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সিসিটিভি-তে ধরা পড়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড যথন চলছে, তখন রাস্তার দুপারে লোকজন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল। আদালত চত্বর থেকে এই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে। মারুতিকে খুন করার পর দুই দুষ্কৃতী চম্পট দেয়। এরপরই দর্শকদের মধ্যে কিছুটা হেলদোল দেখা যায়। কেউ কেউ রক্তাক্ত দেহটির দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু বেশিরভাগই ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন।
দুই হামলকারী পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, মারুতির বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দুই হামলাকারীর শ্যালকের। সেই সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ ঘিরে এই হত্যাকাণ্ড। হামলাকারীরা দুই ভাই বলে জানা গিয়েছে।