নয়াদিল্লি:  মেয়ে সারাক্ষণ অসুস্থ, কাঁদে। এই কারণে দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে নর্দমায় ছুঁড়ে  মেরে ফেলল বাবা। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জামিয়া নগরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


পুলিশ জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তি দুধের শিশুটিকে নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ঘটনার ৫৬ ঘন্টা পর শিশুটির দেহ নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাঝরাতে মোফিদা বেগম নামে ৩২ বছরের এক মহিলা পুলিশকে জানান যে, তাঁর স্বামী রশিদ জামাল (৪০) তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করে গা-ঢাকা দিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মোফিদা ও রশিদের তিনসন্তান। একজন কিশোর, আর এক পুত্র সন্তানের বয়স চার এবং দেড় বছরের শিশুকন্যা। ঘটনার দিন রাতে স্ত্রীকে ছেলে মেয়েদের সামনেই মারধর শুরু করে রশিদ। পরে অন্য দুই সন্তানকে মারতে উদ্যত হলে তারা পালিয়ে যায়।

সেই সময় মেয়ের কান্না শুনে বেজায় বিরক্ত হয় রশিদ। সে মেয়েকে তুলে নিয়ে তাদের ঝুপড়ির মেঝেয় তার মাথা বেশ কয়েকবার ঠুকে দেয়। মোফিদা মেয়েকে না মারার জন্য স্বামীর কাছে বারবার কাতর আর্জি জানান। মোফিদা বাইরে এসে প্রতিবেশীদের কাছে চিত্কার করে সাহায্যের আর্জি জানান। সেই সময় রশিদ মেয়েকে নিয়ে চম্পট দেয়।

মোফিদার কাছ থেকে পুলিশ খবর পেয়ে শিশুটির খোঁজ শুরু করে। কয়েকঘন্টা পরে রশিদকে পাকড়াও করে। কিন্তু সে পুলিশকে জানায় তার কিছু মনে পড়েছে না। সে জানায়, একটা নর্দমার সামনে মেয়েকে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল সে।

পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

শিশুটিকে উদ্ধার করতে পুলিশ দমকল ও এনডিআরএফ-র কুইক রেসপন্স টিমের সাহায্য চায়। ডুবুরিরা ওই নর্দমায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু দেহ তাঁরা খুঁজে পায়নি।

এরইমধ্যে পুলিশের জেরায় রশিদ জানায়, অন্য একটি নর্দমায় মেয়েতে ছুঁড়ে ফেলেছে সে। এরপর ডুবুরিরা শিশুটির দেহ উদ্ধার করে।