হরিয়ানা:  হরিয়ানার পালওয়ালের বাসিন্দাদের মঙ্গলবার সকালে যখন ঘুম ভাঙে, তখন চারিদিক ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। ঠান্ডাও জাঁকিয়ে পড়েছে। কিন্তু সকালে উঠেই তাজ্জব শহরবাসী। এক ব্যক্তি লোহার রড দিয়ে মাত্র  দু ঘণ্টায় ছজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। শহরের ছটি ভিন্ন জায়গায় এই হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। রাত দুটো থেকে ভোর চারটের মধ্যে পুরো অপারেশনটি চালায় ওই ব্যক্তি। অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি একসময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, নাম নরেশ। আহত অবস্থায় তাঁকে পালওয়ালের আদর্শ কলোনি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পালওয়ালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুলচনা গজরাজ জানিয়েছেন, নরেশের বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। অভিযুক্তের মানসিক ভারসাম্যও ঠিক নেই, দাবি পুলিশের। কোনও অভিসন্ধি নিয়ে তিনি এই হামলা চালাননি। মূলত, রাস্তায় তাঁর যার সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁর ওপরই এই হামলা চালান নরেশ।

নরেশের থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। যা থেকে পরিষ্কার অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রাক্তন সেনাকর্মী ছিলেন। তবে সেই নিয়েও পরবর্তী তদন্তের পরই নিশ্চিত হবে পুলিশ, যে নরেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা?

নরেশ প্রথমে এক মহিলাকে একটি হাসপাতালে হত্যা করেন। রাত আড়াইটে নাগাদ শহরের ওই হাসপাতালে পৌঁছন নরেশ। অঞ্জুম নামের ওই মহিলাকে হত্যার পর, তাঁর দেহটি শৌচাগারে রেখে আসেন নরেশ। এরপর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে পরপর পাঁচজনকে হত্যা করেন। চারজনকে পালওয়ালের আগ্রা রোড ও মিনার গেটের মাঝের এলাকায় হত্যা করা হয়। ষষ্ঠ ব্যক্তি হলেন একজন নিরাপত্তাকর্মী। এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে পালওয়ালের রুসুলপুর রোডে।

আদর্শ কলোনিতে পুলিশ যখন তাঁকে গ্রেফতার করতে আসেন, তখন তিনি ফের পুলিশকর্মীর ওপরও হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে সফল হয় এবং সেখানকার সদর হাসপাতালে চিকিত্সার জন্যে পাঠানো হয়। পরে ফরিদাবাদের অপর এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় নরেশকে।