পুলিশ জানিয়েছে, জেলার মানিমূর্তিশ্বরমের ঘটনা এটি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুদালাইরাজ। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি অল্পবয়সি মেয়েকে সে ধর্ষণ করে প্রায় চার মাস আগে। মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সুদালাইরাজ পালিয়ে যায়। তার নামে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়।
গা ঢাকা দিয়ে থাকা অবস্থায় সে তার মতো দেখতে লোকটিকে খুন করে, তার মুখটি বিকৃত করে দিয়ে নিজের ভোটার আই কার্ড ও মোবাইল ফোনটি তার জামার পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। উদ্দেশ্য, পুলিশ যাতে মৃতদেহটি পাওয়ার পর বিশ্বাস করে যে, সুদালাইরাজ মারা গিয়েছে। গোটা অপরাধে তার বাবা-মাও সামিল হয়। তারা অন্য লোকটির মৃতদেহকে তাদের ছেলের লাশ হিসাবে শনাক্ত করে। শেষকৃত্যের জন্য সেই দেহটি পুলিশ তাদের হাতে তুলে দেয়।
সুদালাইরাজের স্ত্রীও ‘বিধবা’-র বেশে পুলিশের সামনে আসে। সব মিলিয়ে সুদালাইরাজ মৃত, এটা কার্যত প্রমাণিত হয়ে যায়। কিন্তু সাজানো নাটক ভেস্তে যেতে বেশি দেরি হয়নি। কয়েকদিন বাদেই সুদালাইরাজের এক বন্ধু তিরুপ্পুর যায় কাজের সুবাদে। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয় সুদালাইরাজের। চাপে পড়ে বন্ধুকে তার লুকিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর কারণ জানায়। সব কথা জেনে বন্ধুটি পুলিশকে খবর দেয়। তবে সুদালাইরাজকে ধরা যায়নি। তার খোঁজে বিশেষ দল তৈরি করেছে পুলিশ।