মুম্বই: খুনের মামলা রুজু হওয়ার একমাস পর তদন্তে জানা গেল নিহত আত্মহত্যা করেছেন! কিন্তু, বিমার টাকার জন্য বিষয়টিকে এমন ভাবে সাজান, যাতে তা হত্যার মত লাগে!


পুলিশ জানিয়েছে, চেম্বুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী এস সতীশকে গত ১৪ জানুয়ারি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর হাতের শিরাও কাটা ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশ হত্যার মামলা রুজু করেছিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিয়াজ, মার্টিন ও শ্রবণ নামে তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।


কিন্তু, তদন্ত এগোতেই চাঞ্চল্যকর মোড় আসে। জেরায় রিয়াজ পুলিশকে জানায়, কেরলের আদি বাসিন্দা সতীশ ঘটনার দিন নিজের হাতের শিরা কেটে রিয়াজকে বলে তাঁর হাত দুটি বিছানার সঙ্গে বেঁধে দিতে।


সেই মতো সতীশের হাত বেঁধে দেয় রিয়াজ। এরপর সতীশের নির্দেশমতো, ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে সে চলে যায়। এরপর সিলিং ফ্যানের থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেন সতীশ।


কিন্তু কেন এমনটা করেছিলেন সতীশ? পুলিশের দাবি, বিভিন্ন দেনার দায়ে জর্জরিত ছিলেন সতীশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, সতীশের একটি গৃহঋণ ছিল। পাশাপাশি, আরও ব্যবসায়িক ঋণও ছিল।


তিনি চেয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর ৫ লক্ষ বিমার টাকা যাতে তাঁর পরিবার পায়। তিনি ভয় পেতেন, আত্মহত্যার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে, ব্যাঙ্ক বাড়ি বাজেয়াপ্ত করবে। তাই, ‘হত্যার’ ফন্দি আঁটেন।