নয়াদিল্লি: বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ধাক্কা। তারপর আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মাঝপথে ফেলে চলে গেল গাড়িচালক! ক্ষমাহীন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের দায়ে কাঠগড়ায় সুরজিত্ কুমার নামে ওই গাড়িচালক।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নয়াদিল্লির গোল মার্কেট মোড়ে সুরজিতের গাড়ি ধাক্কা মারে মধ্য পঞ্চাশের অমৃতলালকে। আইসক্রিম বিক্রেতা অমৃতলাল  বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সুশীল, অঙ্কুর নামে তাঁর দুই সহকর্মী বলেছেন, গাড়িটি অমৃতলালকে বেশ কয়েক মিটার টেনে নিয়ে গিয়ে থামে। তাঁরা ছুটে গিয়ে তাঁকে গাড়ির নীচ থেকে টেনে বের করেন। ‘অচেতন’ অমৃতলালকে তিনিই আরএমএল হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন, গাড়ি থেকে নেমে সুরজিত্ জানান। কিন্তু পেশোয়া রোডে এমএস ফ্ল্যাটের কাছে তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেন তিনি, এমনই অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত সুরজিত্ গ্রেফতার হয়েছে।

সুশীল জানান, তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছে অমৃতলালকে না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন সকালে পুলিশ অমৃতলালের দেহ খুঁজে পায়।

ঘটনাচক্রে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত রাস্তায় পড়ে থাকলেও সেদিকে ফিরে না তাকিয়ে যে যার গন্তব্যের দিকে চলে যাচ্ছেন, নগরবাসীর এহেন অমানবিক আচরণের প্রেক্ষিতে দিল্লি সরকার  জানিয়েছে, তারা আহতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুরস্কার দেওয়ার স্কিম ঘোষণা করবে। যিনি আহতকে নিয়ে যাবেন, তিনি যাতে আইনি ঝামেলায় না পড়েন, সেটাও দেখা হবে। দিল্লির হরি নগর এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় জখম এক ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে থাকলেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এগিয়ে আসেনি কেউ। তারপরই ওই ভাবনা কেজরীবাল সরকারের।