প্রসঙ্গত, মহম্মদ আনাস নামের ওই ব্যক্তি পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক পেজে একটি বিলের ছবি পোস্ট করেন। সেই বিলে দেখা যাচ্ছিল ব্যবসায়ীরা একটি কথা ছাপিয়ে রেখেছেন। সেই কথাটিই হল ‘কমল কে ফুল হামারি ভুল’।এই সেই বিলের ছবি
ছবি সৌজন্যে ফেসবুক
এরপর বিষয়টিকে আরও ভাল করে বিশ্লেষণ করতে ওই সাংবাদিক লিখে দেন, ব্যবসায়ীরা বিলের ওপর এধরনের কথা ছাপিয়ে আমজনতাকে জানাতে চাইছেন বিজেপিকে ভোট দিয়ে তাঁরা ভুল করেছেন। কিন্তু এই পোস্টের আধ ঘণ্টার মধ্যেই মহম্মদ আনাসের কাছে ফেসবুকের থেকে নোটিফিকেশন আসে, তিনি এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করেননি। সেইজন্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট তিরিশ দিনের জন্যে ব্লক করে দেওয়া হল।
অথচ এই পোস্টের সঙ্গে সরাসরি ওই সাংবাদিকের কোনও যোগ নেই। তিনি নিজে থেকেও কিছু লেখেননি। কিন্তু বিনা দোষে ফেসবুক নজরদারির শিকার হয়েছেন। বিলটি গুজরাতের সুরাতের কোনও এক ব্যবসায়ী ছাপিয়েছেন। দিনকয়েক ধরেই সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরা ফেরা করছে। সরকারের উদ্দেশ্যে কোনও আক্রমণাত্মক পোস্ট না করেও, পরোক্ষে সরকারের সমালোচনা করায় ফেসবুক ফ্যাসিসিমের শিকার হলেন তিনি, মন্তব্য ওই সাংবাদিকের।
এই ঘটনা জানাজানির পরই মানুষের বাকস্বাধীনতার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্টের কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন মহলের মানুষ।