গতকাল সকালে মাঠের মধ্যে মলত্যাগরত একদল মহিলার ছবি তোলার চেষ্টা করছিলেন স্থানীয় স্যানিটেশন কর্মীরা। তাঁদের চেষ্টা ছিল, ওই ছবি দেখিয়ে মহিলাদের লজ্জা দেবেন, যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে আর এমনটা না করেন। ওই মহিলাদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন হাজির হন জাফর খান নামে বছর পঞ্চান্নর এক শ্রমিক নেতা। তিনি বলেন, বাড়িতে টয়লেট না থাকায় ওই মহিলাদের বাইরে মলত্যাগ করা ছাড়া উপায় নেই, কমিউনিটি টয়লেটও নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এ থেকে শুরু হয় ঝগড়া, তারপর ধাক্কাধাক্কি, মারধর। সে সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই নেতার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
এরপর গোটা এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থার দাবিতে ১১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘণ্টাদুয়েকের জন্য বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্থানীয় বাজার। অশান্তি সাম্প্রদায়িক চেহারা নিতে পারে আশঙ্কায় মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজনা প্রশমনে ওই স্যানিটেশন টিমের ৭ কর্মীকে আটক করে পুলিশ। স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় একটি সচেতনতাবৃদ্ধি অভিযানে কাজ করছিলেন তাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে, পুরসভা ঘোষণা করেছে, মৃতের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।