নয়াদিল্লি: সিগারেটের নেশায় হাতেখড়ি ঘটেছিল সহকর্মীর কাছে। এই নেশাই শেষপর্যন্ত মারণ-রোগ ক্যানসারের কারণ হয়ে ওঠে। রাগের চোটে সহকর্মীকে খুন করল ২৫ বছরের এক যুবক। মুস্তাকিম আহমেদ নামে পশ্চিম দিল্লির একটি রেস্তোরাঁয় কুক হিসেবে নিযুক্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম ইনায়েত (২৫)। তিনি মায়ানমারের বাসিন্দা।
আহমেদ পুলিশকে জানিয়েছেন, ইনায়েতের প্রতি তাঁর এতটাই ঘৃণা জন্মেছিল যে তাঁকে মারার জন্য পিস্তল কিনে তা চালানোর অভ্যেসও করে নেন তিনি। যাতে গুলি কোনওভাবেই লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়।
গত দেড় বছর ধরে উত্তম নগরের একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন ইনায়েত। ওই রেস্তোরাঁর মালিক মুস্তাকিমের জামাইবাবু। মুস্তাকিমও সেফের কাজ করতেন।
ডিসিপি শিবেস সিংহ জানিয়েছেন, দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। ইনায়েত কাজেকর্মে ও আচারব্যবহারে দারুন চৌকশ ছিলেন। সেজন্য খুব শীঘ্রই তিনি রেস্তোরাঁ মালিকের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। এজন্য ইনায়েতের প্রতি এক ধরনের ঈর্ষার জন্ম হয় আহমেদের মনে।
এরইমধ্যে ইনায়েতের কাছে সিগারেটের নেশা ধরেন মুস্তাকিম। মারিজুয়ানার নেশাও শুরু হয়। এই নেশা তাঁকে ইনায়েত ধরিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এরইমধ্যে মুস্তাকিমের গলায় সংক্রমণ ধরা পড়ে। ডাক্তার দেখান তিনি। মুস্তাকিমের দাবি, ডাক্তার তাঁকে বলেন যে, অতিরিক্ত ধূমপানের জন্য তাঁর গলায় ক্যানসার হয়েছে।
এজন্য মুস্তাকিম সিগারেটের নেশা ধরানোর জন্য ইনায়েতকে দায়ী করেন। এ সবের মধ্যেই কাজে অমনোযোগী হয়ে পড়ায় মুস্তকিমকে রেস্তোরাঁর কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়।
হতাশ হয়ে মুস্তাকিম উত্তরপ্রদেশে নিজের গ্রামে ফিরে যান। সেখানে একটা দেশী পিস্তল কিনে তা চালানো অভ্যেস করে দিল্লিতে ফিরে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার রেস্তোরাঁয় গিয়ে প্রথমে ইনায়েতকে কাজ থেকে বরখাস্ত করার দাবি জামাইবাবুর কাছে জানান মুস্তাকিম। কিন্তু রেস্তোরাঁর মালিক সে কথা কানেই তোলেননি।
পুলিশের এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, গুলি ভরা পিস্তলটি নিয়েই মুস্তাকিম এসেছিল। ইনায়েতকে কাজ থেকে সরাতে না পেরে মুস্তাকিম তাঁর সঙ্গে ঝগড়া জুড়ে দেন। বচসার মধ্যেই ইনায়েতকে গুলি করে চম্পট দেন মুস্তাকিম।
ইনায়েতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
গত শুক্রবার ফাঁদ পেতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
সিগারেটের নেশা ধরানোয় ‘ক্যানসার’, সহকর্মীকে গুলি করে খুন
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
27 Aug 2017 12:02 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -