নয়াদিল্লি: বাস থেকে ওঠা-নামার সময় দুর্ঘটনার হাত থেকে মহিলা, শিশুদের রক্ষা করতে বাসের পাদানিতে সেন্সর বসানোর প্রস্তাব মানেকা গাঁধীর। এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ পেয়ে তিনি কেন্দ্রীয় পরিবহণ ও সড়কমন্ত্রী নিতিন গডকরীকে লিখিত ভাবে এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানান মানেকা। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী ট্যুইটে বলেছেন, বাসে ওঠা-নামার সময় বাচ্চা, মহিলা যাত্রীরা পড়ে গিয়ে আঘাত পাচ্ছেন বলে অনেক অভিযোগ শুনছি। সব বাসে সেন্সর থাকা উচিত। এতে বাসযাত্রা অনেক নিরাপদ হবে। পাদানিতে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে বাস ছাড়বে না।

যদিও তেমন সাড়া মেলেনি মানেকার প্রস্তাবে। পথ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রোহিত বালুজার মতে, এটা অবাস্তব। কোনও সেন্সরই থাকা উচিত নয়। পাদানিতে দাঁড়িয়ে যাওয়ারই কথা নয়। লোক পাদানিতে দাঁড়িয়ে থাকলে বাসই ছাড়বে না। এটা নিশ্চিত করতে হবে বাসচালক, কন্ডাক্টরদের। সেন্সরের যা খরচ, তা লাগানো হোক বাসে স্বয়ংক্রিয় দরজা বসাতে। সেন্সর বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নয়, তাত্ত্বিক ভাবনা।

এদিকে দিল্লি পরিবহণ নিগমের জনৈক অফিসার জানিয়েছেন, রাজধানীতে ডিটিসি-র ৩৭৭৫টি বাসের সব কটিরই স্বয়ংক্রিয় দরজা আছে। ডিটিসি-র তরফে বিশ্বব্যাঙ্কের জন্য করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডিটিসির সব বাসে ২০১০ সালে স্বয়ংক্রিয় দরজা বসার পর থেকে ওঠা-নামার সময় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে গিয়েছে।