নয়াদিল্লি: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিজাতিতত্ত্বের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে অশান্তির মধ্যেই নয়া বিতর্কের জন্ম দিলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আয়ার। জিন্নাকে কায়েদ এ আজম বলে সম্বোধন করেছেন তিনি।


পাকিস্তানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মণিশঙ্কর। তখনই তিনি পাকিস্তান প্রবক্তা জিন্নাকে কায়েদ এ আজম বা শ্রেষ্ঠ নেতা বলে সম্বোধন করেন।

বর্ষীয়াণ এই নেতার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলীয় সভাপতি অমিত শাহ টুইট করে বলেছেন, কংগ্রেস ও পাকিস্তানের মধ্যে মানসিক যোগ বা টেলিপ্যাথি অসাধারণ। পাকিস্তান সরকার যেমন টিপু সুলতানকে স্মরণ করছে, তেমন কংগ্রেসও তাঁর জয়ন্তী উদযাপন করছে ধুমধাম করে। এবার আবার মণিশঙ্কর আয়ার জিন্নার প্রশংসা করছেন। বোঝা যায় না, গুজরাত ভোট হোক বা কর্নাটক, কংগ্রেস সব কিছুতে পাকিস্তানকে জড়িয়ে নেয় কেন!

[embed]https://twitter.com/AmitShah/status/992762410409844738[/embed]

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে চরমে উঠেছে বিতর্ক। হিন্দু যুবা বাহিনীর যে কর্মীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে জিন্নার ছবি সরানোর দাবিতে হাঙ্গামা চালান, তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্নায়  বসেছেন পড়ুয়ারা। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। এর মধ্যে মুম্বইয়ের বিজেপি বিধায়ক প্রভাত লোধা দাবি করেছেন, শহরের জিন্না হাউস ও জিন্না হলকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে মুছে ফেলতে হবে জিন্নার নাম। বিজেপি মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী মন্তব্য করেছেন, আজ যারা ভারতভাগের প্রণেতা জিন্নার পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, তারাই আফজল গুরুর মত জঙ্গির পাশে দাঁড়িয়েছিল।