পানাজী: গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা মনোহর পর্রীকর। গতকালই প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এদিন পানাজীতে রাজভবনে পর্রীকরকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহা। এমজিপি-র মনোহর আজগাঁওকর, নির্দল বিধায়ক রোহন খাউন্তে সহ নয়জন বিধায়কও এদিন শপথ নিয়েছেন। জানা গেছে, পর্রীকর ছাড়াও বিজেপির আরও দুই বিধায়ক মন্ত্রীপদ পেয়েছেন। অন্যদিকে, শরিক গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির তিন এবং এমজিপি-র দুজন মন্ত্রী হয়েছেন।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৪০ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভার ভোটে মাত্র ১৩ আসনে জয়ী হওয়ার পরও গত ১১ মার্চ ফলাফল প্রকাশের পরদিনই পর্রীকর সরকার গঠনের দাবি রাজ্যপালের কাছে জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর পক্ষে বিজেপির ১৩, এমজিপি-র ৩, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির ৩ এবং দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সবমিলিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২১ বিধায়কের সমর্থন তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন পর্রীকর। এরই ভিত্তিতে রাজ্যপাল তাঁকে সরকার গঠনের জন্য ডেকেছিলেন।
এদিকে, ১৭ আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর তাদের সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল না ডাকায় কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত পর্রীকরের শপথ গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অস্বীকার করে। তবে আগামী ১৬ মার্চ, অর্থাত্ বৃহস্পতিবার পর্রীকর সরকারকে বিধানসভায় সংখ্যারগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, কংগ্রেস দলের ১৭ জন নবনির্বাচিত বিধায়ককে নিয়ে এদিনও রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানায়। যদিও এ ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে কোনও আশ্বাস তারা পায়নি। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের নেতৃত্বে কংগ্রেস বিধায়করা রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় আধ ঘন্টা কথা বলেন। তাঁরা দাবি করেন, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে কংগ্রেসকেই প্রথমে সরকার গঠনের জন্য ডাকা উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পর্রীকরকে শপথগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া সংবিধানের পরিপন্থী। গোয়া কংগ্রেসের প্রধান লুইজিনহো ফেলেইরো রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।