হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় শনিবার সকালেই অর্জনকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও সেনাবাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান। অর্জনের প্রয়াণের খবর জানার পর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর।
১৯১৯ সালের ১৫ এপ্রিল অবিভক্ত পঞ্জাবের লিয়ালপুরে সেনা পরিবারে জন্ম হয় অর্জনের। তাঁর বাবা, ঠাকুর্দা ও ঠাকুর্দার বাবাও সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ১৯৩৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন অর্জন। ১৯৬৪ সালের ১ অগাস্ট থেকে ১৯৬৯ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত তিনি বায়ুসেনা প্রধান ছিলেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধ তিনি অসামান্য সাহসিকতা, মনের জোর ও দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৬৫ সালে তাঁকে পদ্মবিভূষণ খেতাব দেওয়া হয়।
বায়ুসেনা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৭১ সালে সুইৎজারল্যান্ড ও ভ্যাটিকানে ভারতের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন অর্জন। ১৯৭৪ সালে তিনি কেনিয়ায় হাই কমিশনার হন। গত বছর তাঁর জন্মদিনে পানাগড়ে বায়ুসেনা ঘাঁটির নামকরণ তাঁর নামে করা হয়।