লখনউ: মথুরায় বৃহস্পতিবারের হিংসার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ৩৬৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু যে চার জনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তারাই এখনও পলাতক।

 

এই চার অভিযুক্তর নাম রামবৃক্ষ যাদব, চন্দন গৌর, গিরিশ যাদব এবং রাকেশ গুপ্ত। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, স্থানীয় থানা এবং অন্য জেলাগুলির পুলিশ একযোগে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

 

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) হরিরাম শর্মা জানিয়েছেন, ১১ জন চিহ্নিত ব্যক্তি এবং প্রায় তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩০২, ৩৫৩, ১৮৬, ১৮৮ নম্বর ধারা এবং ফৌজদারী আইন সংশোধনী অ্যাক্টের ৭ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানার আধিকারিক প্রদীপ কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে শান্তি ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে।

 

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪৭টি দেশী পিস্তল, ৬টি রাইফেল, ১৭৮টি তাজা গুলি, ১৫টি গাড়ি এবং ৬টি দু চাকা গাড়ি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কোনও আধিকারিকের গাফিলতি ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইজি।

 

উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি জাভেদ আহমেদ বলেছেন, ‘আজাদ ভারত বৈদিক বৈচারিক ক্রান্তি সত্যাগ্রহী’ সংগঠনের নেতা রামবৃক্ষ যাদব, চন্দন গৌর, রাকেশ গুপ্ত সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

 

ডিজি আরও বলেছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিল। কিন্তু জবরদখলকারীরা পুলিশকে আক্রমণ করে। বেশিরভাগ লোকই বাইরে থেকে এসেছিল। তাদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, এমনকী নেপালের লোকজনও ছিল। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।