নয়াদিল্লি ও লখনউ: মথুরার হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে, বিরোধী দলগুলির চাপের মুখে নতিস্বীকার করে ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।


উল্লেখ্য, গত ২ জুন সরকারি জমি জবরদখলকারীদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মথুরা। পুলিশ ও জবরদখলকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনায় মথুরার এসপি মুকুল দ্বিবেদি ও এসওএইচ সন্তোষ কুমার যাদব সহ ২৯ জনের মৃত্যু হয়। জবর দখলকারীরা আজাদ ভারত বিধিক বৈচারিক ক্রান্তি সত্যাগ্রহী নামে সংগঠনের সদস্য। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের দখল থেকে মথুরার জওহরবাগের জমি উদ্ধার করতে গিয়েছিল পুলিশ।

এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায়। মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। বিরোধীদের চাপের মুখে এলাহাবাদ হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইমতিয়াজ মুর্তাজা ঘটনার তদন্ত করবেন। দুমাসের মধ্যে বিচারবিভাগীয় কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মথুরার ঘটনার সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী এদিন শুনানিতে আদালতকে বলেন, মথুরায় বড়সড় হিংসার ঘটনা ঘটেছে।বহু তথ্য নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আইনজীবী বলেন, কেন্দ্র সিবিআই তদন্তের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু রাজ্য সরকার এবিষয়ে রাজি নয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্য পুলিশ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে না।

যদিও উপাধ্যায়ের আইনজীবীর যুক্তি মানতে চায়নি বিচারপতি পিসি ঘোষ এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়কে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালত বলে, রাজ্য পুলিশের তদন্তের ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ পিটিশনে নেই। কোনও তথ্যপ্রমাণ না থাকলে এক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে পিটিশনারকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।