নয়াদিল্লি: মারাই গেল ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত বলে ঘোষণা করা জীবিত প্রিম্যাচিওর শিশু। গত এক সপ্তাহ ধরে পিতমপুরার একটি নার্সিং হোমে লড়াই চালানোর পর এদিন মারা যায় সদ্যোজাত শিশুটি।


গত ৩০ নভেম্বর, শালিমার বাগে যমজ সন্তানের জন্ম দেন জনৈক আশীস কুমারের স্ত্রী। হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মহিলা দুটি সন্তানই মৃত প্রসব করেছেন। পলিথিন ব্যাগে করে যমজ শিশুকে তুলে দেওয়া হয় বাবা-মার হাতে।


কিন্তু, সমাধিস্থ করতে যাওয়ার পথে আচমকা নড়াচড়া করে ওঠে একটি শিশু। তড়িঘড়ি তাকে পিতমপুরার নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয়। নার্সিং হোমের তরফে এদিন জানানো হয়, জন্ম থেকেই অত্যন্ত দুর্বল ছিল সময়ের আগে জন্মানো ওই শিশু। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল।


কিছুক্ষণের মধ্যে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ম্যাক্স হাসপাতালের তরফেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে শোকপ্রকাশ করা হয়। তারা জানায়, শিশুর বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি সমবেদনা। তারা যোগ করে, এটা মানতেই হবে যে, সময়ের ২৩-সপ্তাহ আগে জন্মানো শিশুকে বাঁচানো অত্যন্ত মুশকিল। আশা করি, ওনারা এই দুঃখ ভুলতে পারবেন।


এদিকে, মৃত সন্তানের দেহ নিতে অস্বীকার করে শিশুর বাবা। আশীস জানিয়ে দেন, ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই তাঁদের শিশু মারা গিয়েছে। ফলে, যতক্ষণ না দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি শিশুর দেহ নেবেন না। আশীসের স্ত্রী তথা মৃত শিশুর মা এখনও ম্যাক্সে ভর্তি। আশীস জানিয়েছেন, স্ত্রীকেও তিনি ছাড়িয়ে নিয়ে যাবেন না।


এদিকে, এই ঘটনার পরই দুই অভিযুক্ত চিকিৎসককে বরখাস্ত করেছে ম্যাক্স। হাসপাতালের গাফিলতি খতিয়ে দেখেতে একটি প্যানেল গঠন করেছে দিল্লি সরকার। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, গাফিলতি প্রমাণিত হলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।