লখনউ: সংগঠন মজবুত করতে এবার পরিবারিক সদস্যদের ওপরই ভরসা রাখলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেত্রী মায়াবতী। দলের সহ সভাপতি পদে এই দলিত নেত্রী এবার নিয়ে এলেন নিজের ছোট ভাই আনন্দ কুমারকে এবং একই সঙ্গে জাতীয় কো-অর্ডিনেটর পদে নিয়ে এলেন ভাইপো আকাশ আনন্দকে।


সামনেই উত্তরপ্রদেশের ১১টি বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত চলেছে। সেখানে জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির হাত ছেড়ে একাই লড়বে বিএসপি। সংশ্লিষ্টমহলের মতে, এমন অবস্থায় পরিবারেরই দুই নির্ভরযোগ্য সদস্যকে দলের মাথায় বসিয়ে সংগঠন আরও মজবুত করলেন মায়াবতী। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মায়াবতীর দল সমাজবাদী পার্টির হাত ধরেই লড়েছিল। তবে এতে বিজেপি-কে রোখা যায়নি। জোট লড়াই করলেও ইউপিতে ‘অসফল’-ই থেকেছে অখিলেশ ও মায়াবতীর ফর্মুলা। তার পরই একলা চলার কথা জানিয়ে দেন বিএসপি নেত্রী। সেই মতো এবার দলও সাজিয়ে নিচ্ছেন মায়াবতী।


ভাই আনন্দ কুমার ও ভাইপো আকাশ আনন্দকে যেমন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে এসেছেন, তেমনই লোকসভায় দলের নেতা ও মুখ্য সচেতকও নির্বাচন করে দিয়েছেন বিএসপি নেত্রী। আমরোহা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী সাংসদ দানিশ আলিকে লোকসভার নেতা বেছেছেন মায়াবতী। একই সঙ্গে লোকসভায় বিএসপি-র মুখ্য সচেতক হিসেবে নাগিনা লোকসভা থেকে জয়ী সাংসদ গিরিশ চন্দ্রকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।


প্রসঙ্গত, ২৪ বছরের আকাশ আনন্দ ২০১৭ সাল থেকেই সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।  লন্ডন থেকে এমবিএ করে আসার পর পিসির নানান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গী হয়েছেন। ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনেও বিএসপি-র সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের মতো বিষয় দেখেছেন এই তরুণ তুর্কি। তাঁর হাত ধরেই ট্যুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলেন মায়াবতী। পরে মায়াবতীর অবর্তমানে অনেক মিটিং, মিছিলেও আকাশকে মুখ করে এগিয়ে দিয়েছে বিএসপি। এবার তাঁকেই আরও বড় দায়িত্বে এনে মায়াবতী বুঝিয়ে দিলেন, উত্তরসূরী তৈরির কাজেও হাত দিয়ে ফেলেছেন তিনি।