নয়াদিল্লি: ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারি অর্থে লখনউ, নয়ডার পার্কে নিজের ও দলের নির্বাচনী প্রতীক হাতির মূর্তি বসিয়েছিলেন মায়াবতী। তাঁকে সরকারি তহবিলে ওইসব মূর্তি স্থাপনের পিছনে ব্যয় হওয়া অর্থ জমা দিতে হবে বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) সভানেত্রীকে। এমনটাই তাদের প্রাথমিক অভিমত বলে জানাল সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ।
জনৈক আইনজীবীর একটি পিটিশনের শুনানির সময় এ কথা বলেছে বেঞ্চ। ওই আইনজীবীর বক্তব্য, জনগণের টাকায় কেউ নিজের মূর্তি বসাতে বা তাঁর দলের প্রচার করতে পারেন না। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, মায়াবতীকে নিজের মূর্তি ও দলীয় প্রতীক স্থাপনে খরচ করা জনসাধারণের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। এমনটাই আমাদের চিন্তাভাবনা। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি দীপক গুপ্ত, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। বিষয়টির চূড়ান্ত শুনানি ২ এপ্রিল ধার্য করেছে বেঞ্চ। বিচারপতিরা বলেন, বিষয়টির শুনানির জন্য কিছুটা সময় লাগবে, তাই তাঁরা তাঁদের প্রাথমিক মত জানিয়ে রাখলেন।
এ ব্যাপারে ২০০৯ সালে পিটিশন দাখিল করেছিলেন রবিকান্ত নামে ওই আইনজীবী, দীর্ঘদিন বাদে শুক্রবার তার শুনানি হল।
এর আগে সু্প্রিম কোর্ট এই ইস্যুতে বিভিন্ন অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করেছিল যাতে পরিবেশ, প্রকৃতির ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়গুলি তোলা হয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, ভোটের সময় পার্কে বসানো হাতিগুলি ঢেকে রাখতে হবে।
আবেদনকারী আইনজীবীর অভিযোগ, ২০০৮-০৯ এ মায়াবতী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর ভাবমূর্তি বড় করে প্রচারের জন্য সরকারি কোষাগারের কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল।