নয়াদিল্লি: সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর কারণ সন্ধানে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড দিল্লি পুলিশকে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি তারা।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও এইমসের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মেডিক্যাল বোর্ড বলেছে, মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি।

কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দার মৃত্যুর কারণ সন্ধানে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটকে রিপোর্ট দিয়েছে এই বোর্ড। জানা গেছে, তাদের বলা হয়েছে, ফের এফবিআই ও এইমসের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে। সুনন্দার ফোন থেকে ডিলিট করে দেওয়া কথোপকথন বা চ্যাট উদ্ধারের জন্য এখন চেষ্টা করছে পুলিশ।



তবে বিষয়টি অবশ্য এখানেই শেষ নয়। এইমসের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সুদীর গুপ্ত পরিষ্কার জানিয়েছেন, সুনন্দার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, বিষ দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর বক্তব্য, সুনন্দার মৃত্যুর পর দিল্লি পুলিশ যে ড্রাগ ও বিষ উদ্ধার করে, সেই পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট, তাঁকে বিষ দেওয়া হয়েছিল।

এফবিআইয়ের রিপোর্টেও এই দাবির স্বীকৃতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এইমসের মেডিক্যাল বোর্ড এর আগে তাদের রিপোর্টে জানায়, উদ্বেগ কমানোর ওষুধ অ্যালপ্রাক্স অতিরিক্ত সেবনের কারণে মারা গিয়েছেন সুনন্দা। যেভাবে ২৭টি অ্যালপ্রাক্সের খালি ট্যাবলেট পাওয়া যায় তাতে পরিষ্কার, তিনি অ্যালপ্রাক্স খেয়েছিলেন বা খাওয়ানো হয়েছিল। এফবিআই রিপোর্টও বলছে, সুনন্দার পাকস্থলী, যকৃৎ, দুই কিডনির অর্ধেক, রক্ত ও মূত্রে অ্যালপ্রাক্স ছড়িয়ে পড়েছিল। এর ফলে তাঁর মৃত্যু হয়।

২০১৪-র ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলের স্যুইট থেকে সুনন্দার প্রাণহীন দেহ উদ্ধার হয়। ঠিক তার একদিন আগে পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহের তারারের সঙ্গে প্রকাশ্য টুইটার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সুনন্দার অভিযোগ ছিল, মেহেরের সঙ্গে শশী থারুরের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড আরও বলেছে, মৃত্যুর তিনদিন আগে কেরল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস থেকে একেবারে সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থায় ছাড়া হয়েছিল সুনন্দাকে। তাঁর লিউপাস ছিল ও দুবাইয়ে সে রোগের চিকিৎসা চলছিল, বলে এক ইমেলে যে দাবি করা হয়, তা তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ছাড়ার কিছু নয় বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে।