কাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধিদলটি আসছে, তার সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় বসার ডাক দিয়ে মেহবুবা আমন্ত্রণ পত্রে লিখেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভানেত্রী হিসাবে আপনাদের চিঠি লিখছি। কাল রাজ্য সফরে আসতে চলা সর্বদলীয় সাংসদ-দলের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিন, তাতে সামিল হোন। চলতি অচলাবস্থা কাটাতে এটাই তাহলে বিশ্বাসযোগ্য, অর্থবহ রাজনৈতিক আলোচনা ও সমাধান প্রক্রিয়ার শুভ সূচনা হতে পারে।
তিনি এও লিখেছেন, রাজনৈতিক, দলীয় মত-পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব একটা উদ্যোগ নিয়েছে এবং সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে তাতে সাহায্য করে তাকে বাস্তব করে তোলার দায়িত্ব আমাদের। মূল স্রোতের দল বা বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডাবাহী, যে-ই হোক, আমরা সবাই কিন্তু আমাদের জনগণের আকাঙ্খা, চাহিদার প্রতিনিধিত্ব করি এবং আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করি। আশা করি, আপনারা আমার ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে আপনাদের সুবিধামতো সময়ে, স্থানে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতামত বিনিময়ে আগ্রহ দেখাবেন।
এদিন নয়াদিল্লিতে আগামীকালের সফরের প্রাক্কালে হওয়া এক বৈঠকেও বিরোধী শিবিরের দলগুলি কাশ্মীরের অশান্তি নিরসনে হুরিয়ত সমেত সেখানকার সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার বসার পক্ষে সওয়াল করে। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সরকারের উচিত সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলতে হুরিয়তকে ডাকা। বাকিদের যেমন ডাকা হয়েছে, তেমনই ওদের কথা বলতে আমন্ত্রণ করা হোক। দেখা যাক না, ওরা সাড়া দেয় কিনা।