নয়াদিল্লি: এনএসজি মতৈক্য নির্ভর সংগঠন। কোনও দেশ মতৈক্যে না-ই আসতে পারে। কিন্তু তাকে তাহলে ঘটনার দায় নিতে হবে। এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি রুখে দেওয়ায় চিনের বিরুদ্ধে এমনই কড়া মন্তব্য করল ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে সিওলের প্লেনারিতে ভারতকে এনএসজি সদস্যপদ দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করে তারা ফের জানিয়ে দিয়েছে, এনএসজি-তে ভারতের প্রবেশ নিশ্চিত করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দিল্লি সফররত রাজনীতি বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি টম শ্যানন জানিয়েছেন, এখন ভারত ও আমেরিকার উচিত, এক সঙ্গে বসে সিওলের কূটনৈতিক ঘটনাক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা, দেখা এবার কী করা উচিত, কী করে পরেরবার ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়। তাঁর কথায়, এনএসজি চলে মতৈক্যের ভিত্তিতে। কোনও দেশ সহমত না-ই হতে পারে কিন্তু তাকে যদি বিচ্ছিন্ন নাও করা হয়, অবশ্যই দায়ী করতে হবে।
এশীয়- প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ভারতকে স্থায়িত্বের নোঙর হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন শ্যানন। চিনের দিকে আঙুল তুলে তাঁর অভিযোগ, দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং যা করছে, তা পাগলামি ছাড়া কিছু নয়। আমেরিকা চায়, ভারত মহাসাগরে দিল্লি আরও বড় ভূমিকা নিক। তাঁর কথায়, চিনের উত্থান বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে আমেরিকা, তারা চায়, ভারত মহাসাগরে ভারতের অবস্থান আরও বিস্তীর্ণ এবং দৃঢ় হোক। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তাদের এনএসজি-তে প্রবেশ করাতে আমেরিকা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।