মেরশাল ছবির একটি দৃশ্যে নায়ক বিজয়কে হাতকড়া পরা অবস্থায় জিএসটি-তে বেশি কর চাপানোর পরেও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার অক্ষমতার কথা উল্লেখ করতে দেখা যাচ্ছে। ছবিটিতে আরও বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে ৭ শতাংশ জিএসটি থাকা সত্ত্বেও বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যায়। অথচ ভারতে ২৮ শতাংশ জিএসটি-র পরেও কেন বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না? ওষুধের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি। অথচ যে মদ মায়েদের বিয়ে ভেঙে দেয়, সেটা জিএসটি-র আওতার বাইরে।
মেরশালের এই দৃশ্যগুলি নিয়েই আপত্তি জানায় বিজেপি। ছবিটি থেকে দৃশ্যগুলি বাদ দেওয়ার দাবি জানায় কেন্দ্রের শাসক দল। তামিলনাড়ুর বিজেপি মুখপাত্র নারায়ণ তিরুপতু দাবি করেন, সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের আয়ের ১০ শতাংশ নিয়ে জমানো হয়। সেটাই বিমা খাতে ব্যবহার করা হয়। ছবিটিতে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ছবি থেকে সংশ্লিষ্ট দৃশ্য বাদ দিতে হবে।
কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী, অভিনেতা কমল হাসান, তামিলনাড়ু সিপিএম এই বিতর্কে বিজেপি-র তীব্র সমালোচনা করে। কংগ্রেস সহ সভাপতি ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘মেরশাল’-এ ‘হস্তক্ষেপ করা’ থেকে বিরত থাকতে বলেন। রাহুল লেখেন, মিঃ মোদী, তামিল সংস্কৃতি ও ভাষার এক জোরালো মাধ্যম সিনেমা। সুতরাং মেরশাল-এ কলকাঠি নেড়ে তামিল অহঙ্কারকে দানবের মতো আঘাত করার চেষ্টা করবেন না।
কমল হাসানও এই বিতর্কে ‘মেরশাল’-এর পক্ষে ট্যুইট করেছেন। জিএসটি-র প্রসঙ্গ থাকায় বিজয়ের ছবির ওপর খাপ্পা বিজেপির উদ্দেশ্যে দক্ষিণী তারকার বক্তব্য, ‘মেরশাল’ ছাড়পত্র পেয়েছে। নতুন করে তাকে সেন্সর করবেন না। যু্ক্তি দিয়ে সমালোচনার জবাব দিন। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেবেন না। কথা বলতে পারলেই উজ্জ্বল হবে ভারত।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও ট্যুইট করে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করে লেখেন, আইন আসছে, শুধু সরকারের নীতির প্রশংসা করে তথ্যচিত্র বানানো যাবে।
বিজয় এই বিতর্কে নীরবতা অবলম্বন করলেও, তাঁর বাবা প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ চন্দ্রশেখর দাবি করেন, তাঁর ছেলে এই ছবিতে ভুল কিছু বলেননি। বিজেপি নেতারাও জিএসটি ও নোট বাতিলের সমালোচনা করেছেন। তবে শেষপর্যন্ত চাপের মুখে নতিস্বীকার করার কথা জানালেন মেরশালের প্রযোজক।