নয়াদিল্লি: #মি টু ক্যাম্পেনের নিন্দা বিজেপি এমপি উদিত রাজের। একটা ‘ভুল প্রবণতা’ চালু হচ্ছে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
#মি টু ক্যাম্পেনের দৌলতে বছরের পর বছর চুপ থাকার পর মিডিয়া, বিনোদন দুনিয়ার একের পর এক নামী লোকজনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর যৌন হেনস্থা, নিগ্রহের অভিযোগ আনছেন নিজেদের নির্যাতিতা বলে দাবি করা মহিলারা। কিন্তু উদিতের বক্তব্য, #মি টু আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ, তবে যৌন নিগ্রহ ঘটে যাওয়ার ১০ বছর পর অভিযাগ তোলার মানে কী? এতদিন বাদে যৌন হেনস্থার অভিযোগের সত্যতাই বা প্রমাণিত হবে কী ভাবে? তিনি ট্যুইটে এও লিখেছেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তাঁর ভাবমূর্তি সত্যিই কতটা মার খাবে এতে, সেটাও ভেবে দেখা উচিত। একটা ভুল ধারার সূচনা হচ্ছে।




#মি টু মুভমেন্টকে ব্ল্যাকমেল করায় ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। উত্তর পশ্চিম দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধির বক্তব্য, লিভ ইন করা যুবতী ধর্ষণ হয়েছে দাবি করায় তার পুরুষ সঙ্গীকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে, এটা কী করে সম্ভব? আজকার আকছার এমন হচ্ছে। এটা কি ব্ল্যাকমেল নয়?
বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত ২০০৮ সালে ছবির সেটে একটি গানের শ্যুটিংয়ে তাঁকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে সূত্রপাত হয়েছে #মি টু প্রচারের। বেশ কিছু মহিলা দীর্ঘদিন চেপে রাখা যৌন হেনস্থার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা খোলাখুলি বলে ফেলছেন।