মেওয়াট: মেওয়াটে দুজনের খুন ও গণধর্ষণের ঘটনায় গোরক্ষকদের সম্পর্ক রয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা একেবারে ভিত্তিহীন। হরিয়ানার পুলিশ প্রধান কে পি সিংহ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এ কথা।


২৪ অগাস্ট মেওয়াটে নিজেদের বাড়িতে খুন হন এক কৃষক ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের দুই ভাইঝিকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় ৪জন। ঘটনাটি কদিনের পুরনো হয়ে গেলেও প্রথমে একবারও শোনা যায়নি, গোরক্ষকরা কোনওভাবে এই অপরাধে যুক্ত। বরং মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন দাগী অপরাধীর নামই উঠে আসে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু গত সপ্তাহে আচমকা ধর্ষিতা ২ বোনের একজন বয়ান বদলে ফেলেন। সমাজকর্মী শবনম হাসমির উপস্থিতিতে তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষকরা তাঁদের জিজ্ঞাসা করে, তাঁরা গরু খান কিনা। তাঁরা না বলা সত্ত্বেও তাঁদের ধর্ষণ করা হয়। তাঁর দাবি, এ কথা পুলিশকেও বলেছিলেন তিনি। যদিও পুলিশ আগাগোড়া জানিয়ে আসে, তদন্ত চলাকালীন গোরক্ষকদের প্রসঙ্গ ওই ২ বোন একবারও তোলেননি।

এখন রাজ্যের পুলিশ কর্তাই জানিয়ে দিলেন, ওই অভিযোগ ঠিক নয়। তিনি বলেছেন, ধর্ষিতা ২ বোন ও তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাঁদের বয়ান লিপিবদ্ধ করেন। কিন্তু কেউ একবারও ঘুণাক্ষরেও গোরক্ষকদের কথা তোলেননি।

তবে স্থানীয় মহাপঞ্চায়েতের দাবি মেনে রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়।

মেওয়াটে অবশ্য উত্তেজনা এখনও যথেষ্ট রয়েছে। গোরক্ষক সংগঠনগুলি ১৫ তারিখ মহাপঞ্চায়েত ডেকেছে। তাতে যোগ দেবেন ঝাঝর, পঞ্চগাঁও, ওয়াজিরাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি। বিফ বিরিয়ানি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।