শ্রীনগর: নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই, ভয়াবহ জঙ্গি হানা! মৃত তিন। এবার আখনুরের এই জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্স বা জিআরইএফ-এর ক্যাম্প, সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায়।
জম্মুর আখনুর শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বটাল গ্রাম। গোটা গ্রাম তখন অঘোর ঘুমে। মাঝরাতে আচমকাই গুলির শব্দ। রবিবার, রাত বারোটা-একটা নাগাদ নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ২-৩ কিলোমিটার ভিতরে জঙ্গিরা ঢুকে পড়ে। আর তারপরই আখনুরের জিআরইএফ ক্যাম্পকে নিশানা করে শুরু করে গুলি চালাতে। পাল্টা সেনাও গুলি চালায়।
কিন্তু, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয় তিন জনের। যাঁরা নেহাতই সাধারণ মানুষ। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (বিআরও) হয়ে কাজ করছিলেন ঠিকা শ্রমিক হিসেবে।
জঙ্গিদের খোঁজে, আশপাশের এলাকায়, মাঝরাত থেকে নাকাবন্দি করে তল্লাশি শুরু করে সেনা। জম্মু-কাশ্মীরের সমস্ত সেনা ক্যাম্পে জারি করা হয় হাই-অ্যালার্ট। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে বার বার রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। কখনও প্রাণ গিয়েছে জওয়ানদের।কখনও সাধারণ মানুষের। বছরের শুরুতেও সেই একই ছবি। ফের জঙ্গি হামলা। হামলার নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
রবিবার রাতে যে জিআরইএফ ক্যাম্পকে নিশানা করে জঙ্গিরা, তার কাছেই নিয়ন্ত্রণরেখা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ, জিআরইএফ-এর হয়ে সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশান। তারাই স্থানীয়দের ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগায়। সেই কাজ করতে গিয়েই জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ গেল তিন জন সাধারণ মানুষের।